শুনলে রামকৃষ্ণ-কথা জীবন জুড়ায় এমনি মিঠে।
পাষাণে জল ঝরে ভাই মরা গাছ মঞ্জুরে উঠে॥
পাঠক ও প্রবোধ - এঁরা দুজন রঙ্গালয়ের অভিনেতা, গিরিশ ঘোষকে গুরু বলে জানেন। রঙ্গালয়ে যখন 'চৈতন্যলীলা' অভিনীত হয়, তখন থেকে এঁরা রঙ্গালয়ে ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবকে দর্শন করেছেন। তাঁর শ্রীপদরজঃ গ্রহণ করেছেন এবং মহাপ্রসাদ ধারণ করেছেন।
পাঠক। দেখ, প্রবোধ, সকল রকম নেশা করলুম - যখন একটা নূতন নেশা ধরা যায়, তখন দিন কয়েক বেশ মজা থাকে, তারপর নেশাটার ধার মুড়ে যায়, কাজেই আবার একটা নূতন নেশা ধরতে হয়। এ রকম করে সব নেশাই তো ফেল হলো, বাকি ছিল গাঁজাটি, তাও বুঝি যায় যায়।
এই বলে ধূমপান ও কথোপকথন চলল। কথা চলতে চলতে পরমহংসদেবের কথা পড়ল।
পাঠক। দেখ, ভাই, সেই যে পরমহংস ঠাকুর - গিরিশবাবু যাঁকে গুরু গুরু বলেন - তিনি বেশ লোক, আচ্ছা সাধু। সাধুদের যেমন জটাফটা থাকে, গেরুয়া কাপড় থাকে, গায়ে ছাই মাখা থাকে, এঁর তা কিছু নেই। আর একটি দেখেছ - সাধুর কোন অহঙ্কার নেই। তিনি আগেই লোককে নমস্কার করেন। চেহারাটি কেমন! - ঠোঁট দুটি ঈষৎ রাঙা রাঙা, চোখ দুটি বাঁকা বাঁকা, মুখখানি ঢল ঢল, আবার তারই মধ্যে একটি জুলুস আছে। দেখলেই মানুষের মনটি