পা। কাঞ্চন দিয়ে কি কখনো পরীক্ষা হয়েছিল?
ভ। মথুরবাবু ঠাকুরকে একবার ৫০,০০০ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে চান, ঠাকুর তাতে অস্বীকার করায় মথুরবাবু বলেন, 'বাবা, তুমি যদি নিজে না নাও, তাহলে হৃদুর নামে কোম্পানীর কাগজ কিনে দিই।' ঠাকুর অতি বিরক্ত হয়ে বলেন, 'আমি তাও পারব না। হৃদুর নামে থাকলেও আমার এমন মনে হতে পারে যে, ও আমার টাকা, হৃদুর নামে আছে মাত্র।' ভাই, ঠাকুরের ত্যাগের আদর্শ দেখ, ত্যাগ - কায়-বাক্য-মনে। বাক্য বলছে লব না, মনও তাই, আবার কায়াখানিও বলছে লব না। ঠাকুরের কায়ে ত্যাগের বিষয় চক্ষে দেখা। শ্রীহস্তে টাকা কি পয়সা ছুঁইয়ে দেবামাত্র হাত এঁকে বেঁকে যেত ও জড় জিনিসের মতো অনেকক্ষণ অসাড় হয়ে থাকত! এ অদ্ভুত ত্যাগের কথা কি কেউ কখনো শুনেছ!!
আর একবার লক্ষ্মী মাড়োয়ারী টাকা দেবার জন্য মহা পীড়াপীড়ি করে। ঠাকুরকে কোনমতে রাজি করাতে না পেরে একদিন টাকার তোড়া নিয়ে হাজির। ঠাকুর টাকা দেখে ছোট ছেলের মতো চিৎকার করেন, অবশেষে বাহ্যহারা! লক্ষ্মী মাড়োয়ারী এই না দেখে কি একটা মনে করে তোড়া নিয়ে একেবারে পালিয়ে গেল। মথুরবাবু আরও অনেক ঘটনাতে দেখেছিলেন যে ঠাকুর যেমনি কামিনীতে অনাসক্ত, কাঞ্চনেও তেমনি। ঠাকুরের কাঞ্চনেতে অনাসক্তি দেখে মথুরবাবু নিজে মুক্তহস্ত হয়ে গেছলেন। এসব ঘটনা পরে বলব।
পা। ভগবানকে দর্শন করলে সন্দেহ-মোচন হয়; সর্বদা কাছে থেকেও মথুরবাবুর এত সন্দেহ ছিল কেন?
ভ। মথুরবাবু মা-কালীর পরম ভক্ত, তিনি চিরকেলে ভক্ত, জন্ম জন্ম মায়ের ভক্ত, এখন তিনি রামকৃষ্ণলীলায় কাজ করবেন বলে ঠাকুরের সঙ্গে আছেন। তাঁর মনে কোন সন্দেহ নেই। তবে জীবকে শিক্ষা দেবার জন্য মথুরবাবুর মনে সন্দেহ দিয়ে ঠাকুর তাঁর সঙ্গে
No comments:
Post a Comment