খেলাটি করলেন, তা শুনে কোন্ পাষাণ প্রাণ না গলবে? দেখুন দয়ার তুলনা বা পরিমাণ আছে কি? দেখুন দেখি ঠিক সেই পতিতপাবন বটেন কিনা! জগদীশ্বরকে সর্বশক্তিমান জেনেও মানুষ যে কোন্ বুদ্ধিতে অবতারবাদের প্রতিবাদ করে, তা এ বুদ্ধিতে বুঝতে পারলুম না - সে বুদ্ধিকে নমস্কার।
রামকৃষ্ণদেবের আনন্দময় মূর্তি। হাজার বদ্ধজীব হোক না কেন, যতক্ষণ তাঁর কাছে থাকে ততক্ষণ সে আনন্দসাগরে ভাসতে থাকে, কখনো ডুবে থাকে। রামকৃষ্ণ ঠাকুরের তাপনিবারণ-মহিমা আমরা বরাবর দেখেছি।
পাঠক ও প্রবোধ পরমানন্দে উদর পূর্ণ করে প্রসাদ গ্রহণ করলেন। পরে ঠাকুরের কাছে বিদায় নেবার সময় চোখ ছলছল - জোড়হাতে বললেন, "ঠাকুর, আপনার চরণে যেন রতি মতি থাকে।" ঠাকুর চুপ করে রইলেন আর একটুকু হাসলেন। তাঁর ভুবনমোহন হাসিমুখ ছিল, সেটি দেখলে আর তাঁকে কোন জন্মেও ভুলবার জো নেই, সে হাসিমুখটি দেখালেন। এঁরা পথে ঠাকুরের কথা কইতে কইতে ঘরে এলেন। তারপর অল্প দিনের মধ্যেই তাঁরা শুনলেন - ঠাকুর আর লীলাধামে নেই। শুনে দিন কয়েক হায় হায় করলেন, তারপর থেমে গেলেন।
রামকৃষ্ণদেবের কৃপায় এঁদের পূর্বপ্রকৃতি ক্রমে বদলে যেতে লাগল, সংসারধর্মে আঁট হলো, স্ত্রীপুত্রের উপর কর্তব্যবোধ এল। নেশাভাঙ কমে গেল, রামকৃষ্ণদেবের কথা শুনতে পেলে মন দিয়ে শোনেন, ঠাকুরের ভক্ত দেখলেই ভক্তিশ্রদ্ধা করেন, ঠাকুরের মহোৎসবে যোগ দেন; রামকৃষ্ণদেবের লীলাগুণ গীতচ্ছন্দে বাদ্যযন্ত্রসহকারে অনেকে একত্র হয়ে সমস্বরে কীর্তন করেন; রঙ্গালয়ে সাজঘরে রামকৃষ্ণদেবের ফটো প্রতিমূর্তি রাখেন এবং অভিনয়ের দিন সুন্দর সুন্দর গোছা
No comments:
Post a Comment