Thursday, March 29, 2018

৩৫

না, এমন কথা বললে তাঁর ইতি করা হয়, তাঁকে সীমাবদ্ধ করা হয়।

তিনি সব হতে পারেন, তাঁর সম্বন্ধে সব সম্ভব; এই ঠাকুরের মীমাংসা।

পা। পরমহংসদেব এমন ঠাকুর! আচ্ছা, আপনি যে বললেন, রামকৃষ্ণদেবই সেই রাম, সেই কৃষ্ণ, কই তাঁদের মতো তো কোন বেশভূষা কি অলৌকিক কার্য দেখতে পাই না; আর লোকেও কেউ বলে না; তবে হাঁ, তাঁর জল্পনা প্রায় অনেক স্থানে আজকাল হচ্ছে বটে।

ভ। তুমি এ-কথা প্রথমেই বলেছিলে, আবার এখন বলছ। রামকৃষ্ণদেব সম্বন্ধে এখনো তোমার সন্দেহ রয়েছে। তুমি তাঁকে প্রার্থনা কর; তিনি বুঝিয়ে দেবেন, দেখিয়ে দেবেন।

একটা কথা মোটামুটি বলি শুন। অবতারবিশেষে রূপবিশেষ হয়। রাম অবতারে রামরূপ, কৃষ্ণ অবতারে কৃষ্ণরূপ, এবার রামকৃষ্ণ অবতারে রামকৃষ্ণরূপ। সব অবতারে সমান বেশ হয় না ও সমান কাজও হয় না। অবতার দুই রকম। এক অবতার ভূভারহরণের জন্য, সাধুদের পরিত্রাণের জন্য, আর দুষ্টদমনের জন্য। আর এক অবতার - তাঁকে আদর্শাবতার বলে। এই অবতারের কার্য - ধর্মসংস্থাপন করা, জীবকে শিক্ষা দেওয়া, আর পতিতের উদ্ধার করা। আদর্শাবতারে ঐশ্বর্য ব্যক্ত থেকেও থাকে না, বেশ-ভূষার আড়ম্বর থেকেও থাকে না, থাকে কেবল মাধুর্য। আদর্শাবতার নিরৈশ্বর্যে ঐশ্বর্যবান ও অরূপে রূপবান। 'শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণপুঁথি' এই সম্বন্ধে যা বলে, তোমাকে তা শুনাই, শুন:

আরে অবিশ্বাসী মন কি কব তোমাকে।
চিরকাল মগ্ন তুমি সন্দেহের পাঁকে॥

No comments:

Post a Comment