তোড়ে ভাসে তার জলে, বহু দূর-দূরাঞ্চলে,
দুই কূলে যে রহে যেথায়॥
কত পথে ছুটে ঢেউ, সন্ধান না জানে কেউ,
বিধিরও বিধানে নাহি লেখা।
মায়া ঈশ্বরের শক্তি অদ্ভুত তাঁহার কীর্তি,
লীলার ভিতরে আছে ঢাকা॥
কোথা সূর্য কত দূরে, কেমনে বিমানে করে,
লবণাম্বু লইয়া সিন্ধুর।
অলক্ষ্যে চালিয়ে কল ফটিক-নির্মল জল,
চাতকের তৃষা যাহে দূর॥
ধরায় জলধিমালা, শূন্যমার্গে করে খেলা,
ধরিয়া জলদ নামান্তর।
এ বড় বিষম দায়, কিছুই না বুঝা যায়,
কেবা কিবা কোথা কার ঘর॥
এক শক্তি মোটে মূলে, কার্যেতে ভিয়ান তুলে,
লক্ষ কোটি সৃষ্টি রকমারি।
দুটি বস্তু সমরূপ, বিশ্বমধ্যে অপরূপ
শক্তির শকতি বলিহারি॥
একে নাহি মিলে অন্য, সকলেই ভিন্ন ভিন্ন
তারে গুণে গঠনে বরণে।
অবিনাশী যাবতীয়, নাহি কিছু শ্রেয়ঃ হেয়,
রূপান্তর গুণান্তর বিনে॥
চতুর্মুখ হরি হর, যে শক্তির আজ্ঞাপর,
হয় লয় যাহার ভিতরে।
সেই শক্তি দিবানিশি, শ্রীপ্রভুদেবের দাসী,
যুক্তকর লীলার আসরে॥
অক্ষয় কুমার সেন প্রণীত "শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণমহিমা"। হরি ওঁ তৎ সৎ॥ শ্রীরামকৃষ্ণার্পণমস্তু।
Thursday, March 29, 2018
৩৯
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment