শুনতে লীলার ভাব ফুটে, পরে ভাব থেকে লীলার ছবি ওঠে। ঐ ছবি দেখতে পেলেই বুঝতে পারবে যে, ঐ লীলাটি যাঁর, তিনি কে।
পা। রাম-অবতারে, কৃষ্ণ-অবতারে, কত শত আশ্চর্য ঘটনা আছে, যেমন - কাঠ সোলা হলো, পাষাণী মানুষ হলো, গিরিগোবর্ধন ধরা হলো, কৃষ্ণ কালী হলেন, পুতনা মরল, কংস-বধ হলো, গীতা বললেন। এখানে কি হবে?
ভক্ত। এর চেয়ে অনেক বেশি বেশি হয়েছে। আজ পর্যন্ত কত অবতার হয়েছেন, তাঁরা সকলে মিলে যা করেছেন, রামকৃষ্ণদেব সেসব করে তার উপর আরও কিছু নূতন করেছেন, কিছু বেশি করেছেন। তুমি যেসব অবতারের কথা বললে, তাঁদের লীলাকথা শুনেছ, তাই তাঁদের ভগবান বলে বিশ্বাস হয়েছে। রামকৃষ্ণলীলা শুন, তাহলে রামকৃষ্ণদেব কি বুঝতে পারবে। তোমাদের রামে কৃষ্ণে যখন বিশ্বাস আছে, তখন রামকৃষ্ণলীলা সহজে বুঝতে পারবে। যিনি একটি অবতার বুঝেন, তিনি সব অবতারই বুঝেন। যাঁর একটিতে বিশ্বাস নেই, তাঁর কোনটিতেই নেই।
সাগরে নিধিরত্ন যেমন জলের উপর থাকে না, জলের ভিতরে থাকে এবং খুব ডুব দিলে সেসব রত্ন যেমন পাওয়া যায়, তেমনি রামকৃষ্ণলীলা-সাগরে ডুব দাও, নানা নিধি পাবে, আর তাঁকে রত্নাকর বলে জানতে পারবে।
পা। আপনি যে বললেন, সকল অবতার যা করেছেন, রামকৃষ্ণদেব সেসব করে আবার তার চেয়ে বেশি কিছু করেছেন; তাহলে আপনি কি বলেন, রামকৃষ্ণদেব অন্যান্য অবতারের চেয়ে বড়?
ভ। সকল অবতারে সেই এক ভগবান। ভিন্ন ভিন্ন নামরূপমাত্র ও ভিন্ন ভিন্ন লীলামাত্র। যখন যে লীলায় যা কাজ আবশ্যক হয়, তখন এক অবতার হয়ে সেই কাজ করেন। তাঁর প্রত্যেক অবতারে
No comments:
Post a Comment