কত শত কুবেরসম অতুল-ধনসম্পত্তিশালী ধনাঢ্য রয়েছেন, কত শত নমস্য নানাবেশধারী ধর্মজ্ঞ রয়েছেন, কিন্তু তুমি যে থিয়েটারের লোক হয়ে উচ্চ ঈশ্বরীয় তত্ত্ব বুঝবার ও জানবার জন্য - ব্যাকুলতা প্রকাশ করেছ ও দেখাচ্ছ, এ ব্যাকুলতাটি এতাবৎ লক্ষ লক্ষ লোকের মধ্যে ক-জনার হয়েছে? তুমি মহা ভাগ্যবান, তুমি ধন্য ও রামকৃষ্ণদেবের মহিমা-ধন্য! রামকৃষ্ণ প্রভুর যে কৃপার বলে হঠাৎ তোমার মনে এতাদৃশ গুরুতর তত্ত্বের উদয় হয়েছে, সে বলই তোমাকে মনের বিষয় বুঝিয়ে ও জানিয়ে দেবে! রামকৃষ্ণদেব পরম দয়াল। তাঁর শরণাপন্ন হলে তিনি মনের ভিরকুটি ভেঙে দেন। তুমি কেবল তাঁকে ধরে বসে থাক।
পা। তাঁকে ধরে বসে থাকা কেমন?
ভ। ঠাকুরের মূর্তিটি স্মরণ কর, ভক্তি-বিশ্বাসের জন্য প্রার্থনা কর, আর তাঁর লীলাগুণ কীর্তন কর ও শ্রবণ কর।
পা। এ করলেই হবে? আর কিছু করতে হবে না? শুনেছি কত সাধন-ভজন করলে তবে কিছু হয়।
ভ। ভাই! এখনো তুমি রামকৃষ্ণ-দর্শনের ফল কিছুই বুঝতে পারনি। রামকৃষ্ণলীলাকথার আন্দোলন যে কি উচ্চ সাধন-ভজন, তা তুমি এখনো জানতে পারনি। শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেবের শ্রীমূর্তি ফুল দিয়ে, গোড়ের মালা দিয়ে তোমরা যে সাজাও তার চেয়ে উচ্চ সাধনা আমি আর কিছু জানি না। সাধন-ভজন বিনে কিছু হয় না, তা আমি জানি, আর রামকৃষ্ণদেবও কিছু সাধন-ভজন না করিয়ে ছাড়েন না। তবে রামকৃষ্ণদেব যে সাধন করিয়ে নেন, সে বড় মজার সাধনা। সে সাধনায় মানুষের আয়াস লাগে না, বড় স্ফূর্তি আছে, আনন্দ আছে। সে কেমন জান? যেমন একজন লোকের বৃন্দাবন যাবার সাধ হয়েছে, রাধাকৃষ্ণদর্শনের বড় সাধ হয়েছে, তার পাথেয় নেই, চলে যাবার শক্তিও নেই, আছে কেবল সাধটি। এখন সে
No comments:
Post a Comment