যীশু নিজেই সেই পিতা হয়ে যেমন সকল বিষয়ে পিতার শক্তি, পিতার ইচ্ছা, পিতার মহিমা, পিতার দোহাই দিতেন, তেমনি রামকৃষ্ণদেব নিজে সেই মা হয়ে সেই রাম হয়ে সেই কৃষ্ণ হয়ে মায়ের শক্তি, মায়ের ইচ্ছা, মায়ের মহিমা বলতেন; আবার কৃষ্ণের ইচ্ছা কৃষ্ণের শক্তি বলতেন বা কখনো কখনো রামের শক্তি, রামের ইচ্ছা বলতেন। তিনি অন্য নামের দোহাই দিয়ে বলতেন বটে, কিন্তু আমাকে দেখিয়েছেন যে, তিনিই তাই। আমি কালীও জানি না, রামও জানি না, আর কৃষ্ণকেও জানি না। আমি জানি রামকৃষ্ণকে। আবার রামকৃষ্ণকে ধরে কালীকেও জানি, রামকেও জানি, কৃষ্ণকেও জানি।
আমার রামকৃষ্ণদেব ভিন্ন অন্য কোন বোধ নেই। এক সময় তাঁকে বিগ্রহরূপে দেখেছিলাম, এখন তাঁকে বিরাটরূপে দেখছি। এই জীব-জগতে তাঁকেই দেখতে পাচ্ছি। তুমি তো বেশ জানো, আমি মূর্খ - রামায়ণ মহাভারতও পড়িনি, কোন সাধনও করিনি, কোন একটা কর্মও করিনি। আমার সম্বল রামকৃষ্ণদেব। তুমি ঈশ্বরের যে নামই বল না কেন, আমি সেই নামটির ভিতরে রামকৃষ্ণকেই দেখতে পাই, সুতরাং রামকৃষ্ণ ও তাঁর শক্তি ভিন্ন আর কি বলব?
পা। মনের ভিরকুটি না ভাঙলে যখন কোন কাজই হবে না, তখন মনকে বুঝা যায়ই বা কি করে আর মনকে ধরাই বা যায় কি করে? মনটাকে জানবার জন্য আমার বড় ইচ্ছা হচ্ছে।
ভ। রামকৃষ্ণদেবের মহিমা দেখ; রামকৃষ্ণদেবের দর্শনলাভের মহিমা দেখ; রামকৃষ্ণদেবের লীলা-শ্রবণ-কীর্তনের মাহাত্ম্য দেখ! সাক্ষাৎ মহিমা, মূর্তিমান মহিমা!
এ লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে কত শত নানাশাস্ত্রবিশারদ উচ্চ উচ্চ উপাধিধারী পণ্ডিত রয়েছেন, কত শত রাজভাষাভিজ্ঞ, নীতিজ্ঞ, বৈজ্ঞানিক প্রভৃতি উচ্চ উচ্চ পদাভিষিক্ত মহামান্য ব্যক্তি রয়েছেন,
No comments:
Post a Comment