ঈশ্বরলাভের কোন উপায় নেই। এমন-কি, সিদ্ধপুরুষকে দেখলে তাঁকে শ্রদ্ধা করা দূরে থাক বরং কটুকাটব্যই পেয়ে থাকে। ঘোর বদ্ধজীব যারা, তারাই পরমহংসদেবকে অযথা বলে।
পা। নেশাটা তবে কাটে কিসে?
ভ। রামকৃষ্ণদেব একটা বেশ ঔষধ বাতলে দিয়েছেন। ঔষধটিও আজকাল তাঁর কৃপায় সহজে পাওয়া যায়। ঔষধটি সাধু-সঙ্গ। ঠাকুরের উপমা - যদি কেউ সিদ্ধি কি গাঁজার নেশায় হতচেতন হয়, তাহলে তাকে যেমন চাল-ধোয়ানি জল খাওয়ালে নেশা কাটে, তেমনি যারা অবিদ্যার নেশায় হুঁশ হারিয়েছে, তাদের পক্ষে সাধু-সঙ্গ একেবারে ডি. গুপ্ত - ভারি দাওয়াই।
পা। কাম-কাঞ্চনের নেশা কাটাতে হলে, যাদের মাগ ছেলে চাকরি বা বিষয়াদি আছে, তা কি ত্যাগ করতে হবে?
ভ। তা কেন? রামকৃষ্ণদেব সংসারীকে কাম-কাঞ্চন ছাড়তে বলেননি। তবে কাম-কাঞ্চনের আসক্তিটি ছাড়তে বলেছেন। তিনি বলেছেন, কাম-কাঞ্চনকে অন্তরে ঠাঁই দিও না। কাম-কাঞ্চনের উপর ভেসে বেড়িও। কেমন জান, যেমন জলের উপর যদি নৌকা থাকে, তাহলে নৌকার কোন হানি হয় না, কিন্তু যদি নৌকার ভিতর জল ঢোকে, তা হলেই নৌকার সর্বনাশ। ধর্মপত্নীকে ঈশ্বরলাভের সহায় মনে করো, একটি কি দুটি ছেলে হলেই ভাই-বোনের মতো থেকো, আর উভয়েই সর্বদা ভগবানের সেবা করো। কাঞ্চনকে ডাল-ভাতের যোগাড় মনে করো। ঈশ্বরলাভ করবার পথে সংসার খুব নিরাপদ স্থান। রামকৃষ্ণদেব সংসারকে কেল্লার উপমা দিতেন। যেমন কেল্লার ভিতর থেকে লড়াই করলে বিপক্ষের গোলাগুলি ও অস্ত্রাদি গায়ে লাগে না, ক্ষুধা-তৃষ্ণার সময় পান ভোজন করতে পাওয়া যায়, আবার একদিকে শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করাও চলে, তেমনি সংসারে ভাত-ডালের সঞ্চয় থাকায় সময়মত খেতে পাওয়া যায়,
No comments:
Post a Comment