সাহেবরাই বা কি জন্য ঠাকুরের মহিমা টের পেলেন আর জাত-ভাইরা অন্যরূপ বুঝলেন, তার কারণ - সাহেবদের হৃদয়ে ভক্তি আছে, আর এদের হৃদয় ভক্তিশূন্য। আমাদের ঠাকুরটিও সেয়ানার চেয়ে সেয়ানা। এদিকে ভারি দয়াল, কেহ খেতে পাচ্ছে না দেখতে পেলে কেঁদে মাটি ভিজাতেন কিন্তু ভক্তিদানের বেলা কৃপণের চেয়েও কৃপণ। কেউ যে ভোগা দিয়ে কিছু হাতাবেন, এমন ছেলে সৃষ্টিতে আজ পর্যন্ত কেউ জন্মাননি! ভক্তি-দানের স্থলে - এ দাতব্য যেখানে সেখানে হতো না। ভাবাবেশে বলতেন, "আমি মনে করলে আমড়াকে ফজলি করতে পারি, কিন্তু তায় আমার দরকার কি? আমার ফজলির বাগান রয়েছে।" কেউ ভক্তি প্রার্থনা করলে একটি গান গাইতেন -
গীত
"আমি মুক্তি দিতে কাতর নই,
আমি ভক্তি দিতে কাতর হই।
আমার ভক্তি যেবা পায়, তারে কেবা পায়,
সে যে হয় ত্রিলোক-বিজয়ী।
এক ভক্তি আমার আছে বৃন্দাবনে,
গোপ-গোপী বিনে অন্যে নাহি জানে,
যাহার কারণে নন্দের ভবনে,
পিতাজ্ঞানে নন্দের বাধা মাথায় বই।
শুন চন্দ্রাবলী ভক্তির কথা কই,
মুক্তি মিলে অনেক ভক্তি মিলে কই;
যে ভক্তির জন্যে পাতাল-ভবনে,
বলিরাজার দ্বারে দ্বারী হয়ে রই।"
ভক্তি সম্বন্ধে বৃন্দাবনের গোপ-গোপীরাই চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত। এখন তুমি বুঝ ভক্তি কি জিনিস!
ভক্তিও যে জিনিস জ্ঞানও সে জিনিস। তবে আস্বাদনে কিছু
No comments:
Post a Comment