Thursday, March 29, 2018

৮৬

সব সত্য। তোমরা বিবাদ করবে না। যার যে মতে, যে পথে যেতে ইচ্ছা, সরল মনে, ব্যাকুল হয়ে সে মতে সে পথে চলে যাও। কারও দুদিন আগে, কারও দুদিন পরে অবশ্যই ঈশ্বরলাভ হবে। ঠাকুরের কাছে যাবতীয় ধর্মপন্থী আসতেন। সকলেরই মনোরথ তিনি পূর্ণ করতেন। যিনি ঠাকুরকে ঈশ্বরলাভের সহায়-স্বরূপ ধরেছেন, তিনিই ঈশ্বরলাভ করেছেন। ঈশ্বরতত্ত্ব যেন আমার ঠাকুরের ভাণ্ডারের মুড়ি-মুড়কি। চাইলেই এক আঁচল। ভাবাবেশে বলতেন - যদি ধন পুত্র চাও, তারকনাথে যাও, আর যদি ভগবান চাও এখানে এস।

পা। আপনি ঠাকুরের কাছে কি প্রার্থনা করেন বা তাঁর কাছে কোন্ জিনিসের আকাঙ্ক্ষা করেন?

ভ। আমি এ প্রার্থনা করি, হে ঠাকুর, তোমাতে যেন অরুচি আমার কখনো না হয়, আর তোমার সেবাপূজা পরিত্যাগ করবার ইচ্ছা কখনো যেন মনে না আসে। এ দুটি প্রার্থনা করি।

পা। ভগবান, ভগবান শুনাই যায় মাত্র। আরও শুনি, লোকে ভগবান লাভ করে, তাঁর দর্শন পায়, তাঁর সঙ্গে কথা কয়, তাঁর সঙ্গে খেলা করে, এসবও শুনছি। অন্যত্র কেউ কেউ বলেন - তিনি নিরাকার, মনবুদ্ধির অগোচর; আবার যোগীরা বলেন - যোগের দ্বারা তাঁকে লাভ করা যায়। যদি তাই হয় তবে ভগবান জিনিসটি কেমন?

ভ। তোমার প্রশ্নই তোমার উত্তর; তুমি তাঁকে যা বলবে, যা ভাববে, তিনি ঠিক সে রকমের। আমি ঠাকুরের কাছে শুনেছি, একজন খুব অনুরাগী ভক্ত গুরুর কাছে সাধন-ভজন কি করে করবেন, তার উপায় জিজ্ঞেস করেন। গুরু বলেন - কোন্ জিনিসটি তোমার খুব প্রিয় অর্থাৎ কাকে তুমি খুব ভালবাস? শিষ্য উত্তর করেন - আমি এ কালো মহিষটাকে ভালবাসি। গুরু সে-কথা শুনে শিষ্যকে আদেশ করেন, তুমি ঐ মহিষটির ধ্যান করো। গুরুভক্ত শিষ্য তাই করাতে,

No comments:

Post a Comment