পারে না, ত্বক্ অনুভব করতে পারে না। এই ঘোড়ার খেলা, মনের সিদে খেলা। মনের আরও বিস্তর খুব মারপ্যাঁচের খেলা আছে, তা কিছু কিছু বলি শোন।
সাগরে যেমন নানা রত্ন আছে, মন-সাগরেও তেমনি নানা জিনিস আছে। এ-সকল জিনিসের নাম বিষয়-জ্ঞান। ঘোড়ায় চড়ে যা কিছু দেখেশুনে শিখে সেসব বিষয়-জ্ঞান। মন বিষয়-জ্ঞান ভিতরে রেখে, সাগরের মতন এক বেশে থাকে। যখন যে জিনিস তার দরকার হয়, তখন নিজে ডুবুরী হয়ে, নিজের ভিতরে ডুব মেরে সেসব জিনিস তুলে আনে। ডুবুরীর কাজ যখন করে, তখন লোকে তার নাম দেয় স্মৃতি। আবার ঐ মন যখন ভালমন্দ, সদসৎ বিচার করবার জন্য দুটো হয়ে আপনা আপনি ঝগড়া করে শেষে মীমাংসা করে, তখন লোকে তার নাম দেয় বুদ্ধি। আবার যখন ঐ মন পোটো হয়ে বিষয়ের পটসকল আপনার ভিতর আঁকে, তখন লোকে তার নাম দেয় চিত্ত। আবার যখন 'আমি' 'আমি' বলে মেতে বেড়ায়, তখন মনের নাম অহঙ্কার।
মনের নানা রকম সাজ-বেশ আছে। তোমরা রঙ্গালয়ের লোক, বেশ জান যে একজন অভিনেতা রকম রকম পোশাক পরে দর্শকদের নানারকমের মূর্তি, প্রকৃতি দেখায়; মনও তেমনি নানারকম বেশ ধরে ও রকমারি খেলা দেখায়। কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহাদির পোশাক পরে সে যেসব মূর্তি ও প্রকৃতি দেখায় সেসব পৈশাচিক মূর্তি ও প্রকৃতি। এসব মূর্তি ও প্রকৃতি ছেড়ে আবার যখন ঈশ্বর-আরাধনায় প্রবৃত্ত হয়, তখন দেবমূর্তি ধরে। মনের পৈশাচিক মূর্তি দেহীর পরম শত্রু, আর দেবমূর্তি পরম বন্ধু। মনের পৈশাচিক-বেশ মলিন-বেশ, ঐ বেশে জীবকে বদ্ধ করে! আর দেব-বেশ, শুদ্ধ বেশ, এই জীবকে মুক্ত করে। মলিন অবস্থাতে মনের স্বভাব কেমন থাকে জান? - ঠাকুর বলতেন, ঠিক কুকুরের লেজের মতো। এই
No comments:
Post a Comment