Thursday, March 29, 2018

৬০

কারা জান? - কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসর্য আর তাদের ছানাপোনা!

রামকৃষ্ণদেবকে দর্শন করলে, তাঁর কৃপা পেলে গুপ্ত ভগবান ব্যক্ত হন; দূরের ঈশ্বর কাছে হন; সেই ঈশ্বর এই ঈশ্বর হন; তিনি ঈশ্বর ইনি ঈশ্বর হন আর দেবদেবীদিগকে ঘরের লোক বলে মনে হয়। এখন বুঝ, রামকৃষ্ণ কি! তোমরা রামকৃষ্ণকে দর্শন করেছ, তাঁর শরণাপন্ন হয়েছ, তোমরাও ক্রমে বুঝতে পারবে।

পা। আপনি মনের কথা বলছিলেন। মন এমন শক্তিধর! মনকেই যে সর্বেসর্বা দেখছি। মনের উপর রামকৃষ্ণদেবের কোন আধিপত্য নেই?

ভ। মন সর্বেসর্বা নয়; সর্বেসর্বা রামকৃষ্ণদেব। জ্ঞানেন্দ্রিয়দের মুখে লাগাম দিয়ে মন যেমন তাদের উপর চড়ে বেড়ায় তেমনি রামকৃষ্ণ মনের মুখে লাগাম দিয়ে তার পিঠে চড়ে বেড়ান। রামকৃষ্ণ মনকে যা বলেন, সে তাই করে। মন যে এত লাফিয়ে বেড়ায়, নেচে কুঁদে বেড়ায়, গরম হয়ে বেড়ায়, নানা বুজরুকি করে বেড়ায়, সে খালি রামকৃষ্ণদেবের ইচ্ছায়, সে রামকৃষ্ণের জোরে; সে কেমন তা জান? হাঁড়িতে জল, চাল, ডাল দিয়ে জ্বাল দিলে কিছুক্ষণ পরে চালডালগুলো লাফাতে থাকে! তারা যে লাফায়, সে তাদের বলে নয়, সে আগুনের বলে; সে রকম শরীর-হাঁড়ির ভিতরে মন-বুদ্ধি যে লাফিয়ে বেড়ায় সে তাদের বলে নয়, সে রামকৃষ্ণদেবের শক্তিবলে। এ উপমাটি ঠাকুরেরই উপমা।

পা। রামকৃষ্ণ যখন এ উপমাটি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তখন তিনি কি বলেছিলেন, জীবের শরীরে মন-বুদ্ধি তাঁর জোরে লাফিয়ে বেড়ায় - না মা-কালীর শক্তিতে লাফিয়ে বেড়ায়? তিনি তো কালী বই আর কিছু জানতেন না।

ভ। তিনি বলেছিলেন, মা-কালীর জোরে লাফিয়ে বেড়ায়।

No comments:

Post a Comment