"ঠাকুর মহাশয় গো! আমাকে চিনেছে, আমি চল্লেম।" এই বলে দ্রুত-বেগে পলায়ন। এখানেও ঠিক তাই, মায়াকে চিনতে পারলেই মায়া চলে যান। তবে আর একটা কথা - যিনি কাম-কাঞ্চনে মুগ্ধ করে রাখেন, তিনি অবিদ্যামায়া। অবিদ্যামায়া গেলেই বিদ্যামায়ার রাজ্য এসে গেল। এ রাজ্যের আর কুলকিনারা নেই। যত দূর পথই যাও না কেন, বিদ্যামায়ার রাজ্য শেষ হয় না। শুনেছি সমাধিস্থ হলে বিদ্যামায়ার পারে যাওয়া যায় - সে বহুদূরের কথা, তার আমার তিলমাত্র উপলব্ধি নেই। এখন আমি দেখছি সব শক্তির খেলা, গোটা ব্রহ্মাণ্ডই মা রাজরাজেশ্বরীর রাজ্য। মূল পরমা প্রকৃতি থেকে এ সৃষ্টি। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর এঁরই আজ্ঞানুবর্তী। সেই আদিপুরুষ একেশ্বর অবতাররূপে যখন অবতীর্ণ হন, এ পরমা প্রকৃতির ভিতর দিয়ে তাঁকে আসতে হয়, তাঁর শক্তিতে শক্তিমান হয়ে তিনি খেলা করেন, আবার তাঁর ভিতর দিয়েই তিরোহিত হন। ঠাকুরের মুখে শুনেছি -
অনন্ত রাধার মায়া কহনে না যায়
কোটি কৃষ্ণ কোটি রাম হয় যায় রয়।
ঠাকুর বলতেন - অবতারেরা প্রত্যেকেই এ মহাশক্তি-সাগরের এক একটি বুদ্বুদ্ মাত্র।
এ সৃষ্টিতে যা কিছু দেখছ বা শুনছ বা বোধ করছ বা কল্পনা করছ, সব সেই পরমা প্রকৃতিতে সৃষ্ট ও তাদের ভিতরে ঐ প্রকৃতিই আছেন। তিনিই দেহ, তিনিই দেহী; তিনিই যন্ত্র, তিনিই যন্ত্রী; তিনিই রথ, তিনিই রথী; তিনিই পুরুষ, তিনিই প্রকৃতি। শর্ব-শর্বাণী তিনি।
প্র। মশায়! আপনার ভারি গোলমেলে ধাঁধার কথা, কেন না, কিছু পূর্বে আপনি আত্মাকেই সর্বেসর্বা বলেছেন, এখন আবার শক্তিকেই সর্বেসর্বা বলছেন। যাঁর শক্তি, তাঁকে রাখছেন ধামাঢাকা, আর শক্তিকে
No comments:
Post a Comment