Thursday, March 29, 2018

৮৮

গানে বলছেন, "লাখে ঘুড়ি একটি কাটে, হেসে দাও মা হাত চাপড়ি।" এ ধরে বুঝ মানুষ কত, আর অমানুষ কজন!

পা। আত্মার সম্বন্ধে কথাবার্তা চলছিল, সে বিষয়টিতেই আমার মন আকৃষ্ট আছে; কাজেই সে সম্বন্ধে আর দু-চারটি কথা জিজ্ঞেস না করে থাকা যায় না।

প্রথম জিজ্ঞাস্য - জীবাত্মাই যদি পরমাত্মা বই আর কেউ নয়, তাহলে এক অদ্বিতীয় পরমাত্মা কি প্রকারে এত অগণ্য রকমের, প্রকৃতির ও আকারের জীবাত্মারূপে পরিণত হলেন?

ভ। তত্ত্বটি যে অতীব গুরুতর, দুর্বোধ্য ও জটিল, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। এটা ভারি ধাঁধার কথা - একবার তোমাকে অনেকটা বলেছি, আবার বলি শোন - বৃষ্টির সময় দীঘির জলে গণনাতীত জলবিম্ব হয় দেখেছ? এখন বিচার্য: ঐ বিম্বগুলি কি, কি জিনিসে তৈরি, আর তাদের ভিতরেই বা কি জিনিস আছে। প্রত্যক্ষ দর্শনের ও বিচারের ফল - বিম্বগুলি জলে তৈরি হলো, আর তার ভিতরে জলই আছে। ঠিক সেরকম জানবে, জীবাত্মাগুলি পরমাত্মাতে সৃষ্ট ও তাদের ভিতর সে পরমাত্মাই আছেন।

এখানে একটি কথা বেশ বুঝে যেও যে, বিম্বগুলি দীঘির জলে জন্মাল মাত্র, কিন্তু কোন বিম্বটিই সে দীঘি নয়; সে রকম এক অদ্বিতীয় মূলাধার পরমাত্মা হতে যে এ কোটি কোটি জীবাত্মা হয়েছে, এদের মধ্যে কোন জীবাত্মাই সে পরমাত্মা নয়, অর্থাৎ দীঘি হতে যেমন বিম্বগুলির প্রভেদ, তেমনি পরমাত্মা হতে জীবাত্মাদের প্রভেদ। দীঘি কথাটির পরিবর্তে সাগর বলাই উচিত ছিল, কেবল তোমাকে প্রত্যক্ষ উপমা দিয়ে বুঝাবার জন্য দীঘি বলেছি। সাগর যেমন সাগররূপে অনাদি অনন্তকাল পড়ে আছে, তার আর কোন পরিবর্তন নেই, তেমনি পরমাত্মা পরমাত্মারূপে আবহমানকাল অপরিবর্তনশীলভাবে স্ব-স্বরূপে বিরাজমান। সাগরে যেমন তরঙ্গ, বিশ্বের জন্ম-স্থিতি-লয়

No comments:

Post a Comment