Thursday, March 29, 2018

৫৮

পা। আপনি তো মূর্খ লোক, কোন শাস্ত্র পড়েননি, সকলে বলেও তাই, তবে আপনি এত জানলেন কি করে?

ভ। আমি তো তোমাকে পূর্বে বলেছি, রামকৃষ্ণদেবকে দর্শন করলে সব দর্শন হয়, যাবতীয় অবতারের দর্শন হয়। তাঁকে বুঝলে সব শাস্ত্রের নিগূঢ় তত্ত্ব বুঝা যায়, সাধন-ভজনের ফল মানুষ অনায়াসে পায়। তাঁর দর্শনের এমন গুণ যে, একটা বেহুঁশ বদ্ধ জীবের হুঁশ আসে, ঘুমন্ত মানুষ জেগে ওঠে, মূর্খ মানুষ পণ্ডিত হয়, কানার চোখ ফোটে, কালা শুনতে পায়, খোঁড়া সাগর ডিঙোয়, বোবা বক্তা হয়। তাঁর শ্রীবাক্যগুলি মহামন্ত্র, সেসব বাক্যের বিষম জোর। যেখানে পড়ে, সে হাজার আঁধার স্থান হোক না কেন, অমনি আলোময় হয়। ঠাকুর বলতেন, চিরকেলে আঁধার ঘরে যদি একবার একটা দেশলায়ের কাটি জ্বালা যায়, তাহলে চকিতে যেমন গোটা ঘরটি আলোময় হয়, তেমনি ঈশ্বরের বাক্য ও তাঁর কৃপা পড়লেই মানুষের চিরকেলে আঁধার কুটির নিমেষে আলোময় হয়।

বারুদ আর আগুনের জোরে যেমন ছোট সীসার গোলা কামানের মুখ দিয়ে বেরিয়ে একটা পাহাড়কে চুরমার করে দেয়, তেমনি ঠাকুরের কথার ভিতর এমনি শক্তি যে, নিগূঢ় মায়ার আবরণ, যাতে ঈশ্বরকে ও ঈশ্বরের তত্ত্বসকলকে আবরণ দিয়ে রেখেছে, সে আবরণকে একেবারে চূর্ণ করে ফেলে। ঠাকুরের শ্রীবাক্যগুলি গোলার মতন শক্তিধর।

ঠাকুরের শ্রীবাক্যের আর একটা মহিমা বলি শোন। লোকে যে কথা কয়, সে যেমন হাওয়ার কথা - হাওয়ায় খোলে, হাওয়ায় দোলে, হাওয়ায় মিশায়, ঠাকুরের কথাগুলি তেমন নয়; কথাগুলি যেমন বেরুল, তেমনি কানের ভিতর দিয়ে ঢুকে হৃদয়ে পড়ল। যেমনি হৃদয়ে পৌঁছে গেল, অমনি কথিত বিষয়ের একটি প্রতিচ্ছবি হৃদয়ে উঠে পড়ল, সে কেমন জান? যেমন এদিকে ক্যামেরার কলটিও

No comments:

Post a Comment