Thursday, March 29, 2018

৪১

জরিয়ে ফেলে, তেমনি রামকৃষ্ণদেবের অতি সরল কথায়, সরল গীতার ভিতর এমনি শক্তি নিহিত আছে যে, অতি বড় পাষাণচিত্ত বদ্ধজীব শুনলেও তার অন্তরে অন্তরে, মজ্জায় মজ্জায়, শিরায় শিরায়, অস্থিতে অস্থিতে প্রবেশ করবে।

একটি বিষয়কে নেড়েচেড়ে না দেখলে বুঝা যায় না। পরমহংসদেবের মহিমা যে এখনও এ দেশের লোক দেখতে পাননি, তার কারণ কেউ তাঁকে দেখেননি। তাঁর মূর্তিমান জ্বলন্ত মহিমার মধ্যে থেকে মহিমা দেখতে পাইনি বলাও যা, আর হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে দাঁড়িয়ে থেকে শীত লাগছে না বলাও তা। যাঁদের এমন স্থলেও শীত বোধ হচ্ছে না, তাঁদের বুঝতে হবে যে, তাঁদের শরীরে কিছু বিকার জন্মেছে।

একজন দীন-দুঃখী ব্রাহ্মণের ছেলে, নিরক্ষর কৈবর্তের ঠাকুরবাড়ির পূজারী বামুন এমন সকল কথা বলে গেলেন, এমন একটি জীবন দেখিয়ে গেলেন যে, সেই কথায়, সেই জীবনের আভাস পেয়ে ভূমণ্ডলের চতুর্দিকের অতি উন্নতিশীল জাতির বড় বড় পণ্ডিত, বড় বড় বৈজ্ঞানিক, বড় বড় ধর্মতত্ত্ববিদ্ মহামান্যেরা মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বা অতি ভক্তিসহকারে তাঁর লীলাস্থান অর্থাৎ কোনখানে তিনি থাকতেন, কোনখানে তিনি বসতেন, কোনখানে তিনি শুতেন, কোনখানে কে তাঁর বিষয় জানেন, কে তাঁর সঙ্গে থাকতেন, সেই সব স্থানও দেখবার জন্য লোক সাত সমুদ্র পার হয়ে দীনভাবে এখানে আসছেন। রামকৃষ্ণদেব যে গাছের তলায় বসে অগণ্য সাধন করে যাবতীয় ধর্মের গূঢ়তত্ত্ব অবগত হয়েছেন, সেই গাছের পাতা, সেই সিদ্ধস্থানের মাটি কত হাজার হাজার লোক আপন আপন দেশের আপন বাটীতে নিয়ে গিয়ে গ্লাসকেসের ভিতর রেখে আপনাকে পবিত্র মনে করছেন। যে দেশের লোক হিন্দুদিগকে হীনবীর্য মনে করেন, পশু অপেক্ষাও নীচ মনে করেন, যে দেশের

No comments:

Post a Comment