মনে বদ্ধ, মনে মুক্ত। হাজার কাজ থাকলেও মুক্ত-পুরুষ বদ্ধ হন না।
পা। যে মন বেঁধে রেখেছে, সেই মনই বাঁধন খুলে দেয়! তাহলে মনটাকেই যে সর্বেসর্বা দেখছি। কিন্তু আপনি পূর্বে বললেন রামকৃষ্ণদেব মনের রাজা।
ভ। তুমি প্রভুর কৃপায় খুব লীলা দেখতে ও বুঝতে পারছ। এখন শোন, মনে আর ঠাকুরে প্রভেদ কি! তোমাকে পূর্বে ভগবানের স্বরাট্ ও বিরাট মূর্তির ও খেলার কথা বলেছি। বাহ্য-জগৎ ও অন্তর্জগৎ নিয়ে যে খেলা, তার কথাও যথাসাধ্য বলেছি। এ অন্তর্জগতের খেলা। একটি কথা বিশেষ করে মনে রেখো - এ সৃষ্টিতে কেবল সেই একের খেলা। এক মানে রামকৃষ্ণদেব। রামকৃষ্ণদেব বই আর দোসরা জিনিস নেই। লীলাতে এ এক - মূল জিনিসটি অগণ্য কোটি রকমে পরিণত হয়েছেন। যেখানে এক, সেখানে আর কথা নেই। যেখানে লীলা অর্থাৎ অনন্ত কোটি, সেখানেই কথা। লীলাকথার প্রসঙ্গে আত্মা, পরমাত্মা, ভগবান, শক্তি, মায়া, মন, বুদ্ধি ইত্যাদি যা কিছু আমি বলি না কেন, তুমি বুঝে নিও এ রামকৃষ্ণদেব বই আর অন্য কিছু নয়। অবস্থা-ভেদে, রূপ-ভেদে, আকার-ভেদে, গুণ-ভেদে, নাম-ভেদে ও বৃত্তি-ভেদে এ একটি জিনিস লীলাতে অনন্ত রকমে অনন্ত হয়েছেন; সুতরাং লীলাকথায় এ এক জিনিসকে নানা নামে বলতে হয়। এ দুনিয়ায় কেবল একেরই রকমারি - সেটি কেন জান? মোটামুটি উপমাতে যেমন একটা কাঠের কারখানা। কারখানাতে মূল উপাদান কেবল এক - কাঠ। এ এক কাঠে নানা জিনিস হয়েছে, যথা - বিম, তক্তা, দরজা, আলমারি, খাট, সিন্দুক, বাক্স, কৌটা, জাহাজ, খেলনা ইত্যাদি ইত্যাদি। যেখানে শুধু কাঠ, সেখানে আর রকমারি নেই, সুতরাং কথাও নেই, কথার মধ্যে ঐ এক কথা - কাঠ। যেখানে কারখানা সেখানে রকমারি ও তাদের
No comments:
Post a Comment