Thursday, March 29, 2018

৯২

তা নয়। সকলেরই মুখের লাগাম সেই কর্তার হাতে আছে। তিনি যখন মনে করবেন, তখন তাঁর ভাণ্ডারে আর আর যে-সব যন্ত্র আছে, সে-সব যন্ত্র দিয়ে ঐ রূপরসে মত্ত মনাদি যন্ত্রের গতি ফিরিয়ে দিবেন। এ-সব যন্ত্রের নাম বিবেক, বৈরাগ্য, জ্ঞান, ভক্তি। যে মন-বুদ্ধি এ বিশালাক্ষীর দয়ে এনে ডুবিয়েছে, সে তারাই আবার উদ্ধার করে দেবে। এখন এ ধরে বুঝ, মন-বুদ্ধি জীবাত্মাতে কি প্রকারে অবস্থিত, আর তারা কি?

পা। জ্ঞান, ভক্তি কি জিনিস?

ভ। ভক্তি জিনিসটি যে কি, তা মুখে বলবার সাধ্য নেই; তবে এ ভক্তির একটা তরঙ্গ ওঠে, সে তরঙ্গটির কথা বরং কিছু বলা যায়। সে তরঙ্গটি কি জান? সেটি ভগবদ্দর্শন ও ভগবৎ-সেবার স্বার্থশূন্য ঐকান্তিক প্রবৃত্তি। এ প্রবৃত্তি যে মূল বস্তু থেকে জন্মায়, তার নাম ভক্তি। জিনিসটি ভগবানের ভাণ্ডারের একমাত্র মরকত এবং সেজন্যই তিনি জিনিসটিকে বড় ভালবাসেন। জিনিসটি তো ভালবাসেনই, আবার এ জিনিসটি যে আধারে রাখেন, সে আধারটিও ভালবাসেন। ভক্তিলাভের কোন উপায় নেই, এটা একমাত্র ভগবানের কৃপার উপর নির্ভর করে। তাঁর কৃপাই তাঁর ভক্তি। তিনি আপন ইচ্ছায় জীবকে দেন, সেটি কেমন জান? - ভগবানের স্বভাব ঠিক একটি শিশুছেলের স্বভাবের মতো। বাবা ছেলের হাতে একটি লাড়ু দিয়েছেন; ছেলে লাড়ুটিকে খুব আঁট করে নিয়ে বসে আছে; এমন সময় ছেলের বাপ কিংবা কোন আত্মীয় যদি সেই লাড়ুটি চায়, তখন সে হয়তো দেওয়া দূরে থাক, লাড়ুর সহিত হাতটি পেটের ভিতর লুকিয়ে রাখবে। আর বেজার হয়ে বলবে - না, আমি লাড়ু দিব না। তারপর (ছেলের যেমন স্বভাব) হয়তো পথে একজন অপরিচিত লোক চলে যাচ্ছে, তাকে হাত বাড়িয়ে ডেকে তার হাতে লাড়ু দিয়ে ফেলবে। ভক্তি দেবার সম্বন্ধে ভগবানেরও এরকম

No comments:

Post a Comment