শশধর পণ্ডিত কতদিন পরমহংস ঠাকুরের পেছু পেছু ঘুরলেন, কি দেখলেন, এখন আর সাড়াশব্দ নেই।
প্র। আর কারও কথা জানিস?
পা। ঢের ঢের অনেক - সময়ে আবার বলব।
প্র। তুই এত কোথা থেকে শুনলি?
পা। ওরে ভাই, আজকাল যেখানে যাই, সেখানেই ঐ পরমহংস ঠাকুরের কথা।
প্র। এখন ঐ ঠাকুর কোথায়?
পা। শুনেছি, তিনি এখন কাশীপুরের একটি বাগানবাড়িতে আছেন। তাঁর গলায় বেদনা হয়েছে, তাই তাঁর ভক্তেরা সেখানে তাঁকে রেখে চিকিৎসা করাচ্ছেন। ব্যারাম বড় শক্ত। শুনেছি, শহরের ডাক্তার কবিরাজ সব হার মেনে গেছেন। ডাক্তার মহেন্দ্র সরকারও কিছু করতে পারেননি।
প্র। চল্, এখন সেই পরমহংস ঠাকুরকে দেখে আসি। ব্যারাম এমন শক্ত হয়েছে, শুনে প্রাণটা কেমন করে উঠল!
পা। আমারও ভাই। তবে চল্।
দুজনে পথে বের হলো। এখন বেলা প্রায় দুপুর পেরিয়ে গেছে; খানিক দূরে গিয়ে দুজনেরই ক্ষুধা পেল।
প্র। ভাই, খিদেয় আর চলা যায় না, দেড় ক্রোশের উপর পথ। সঙ্গে দুজনের মধ্যে কারও একটা পয়সা টেঁকে নেই। যখন বেরিয়ে এসেছি, তখন যাই হোক যাব। তুই যে আগে বললি, পরমহংস ঠাকুর আরও অনেক লোককে ছুঁয়ে দিয়ে বোবা করে দিয়েছেন, তাদের কথা বলবি। কই, এখন বল না। দেখ, ঐ ঠাকুরটি যেমন সুন্দর, তাঁর সম্বন্ধে কথাগুলিও তেমনি।
পা। আমি সেদিন বাবু দত্তের গুলির আড্ডাতে গিয়েছিলেম,
No comments:
Post a Comment