Thursday, March 29, 2018

৪৯

হাজার হোক মানুষের মন, তাই মথুরের মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়। রাত্রিকালে পরমা সুন্দরী বেশ্যা এনে ঠাকুরের কাছে পাঠিয়ে দিয়ে পরীক্ষা করেন।

পা। পরমহংসদেব বেশ্যাদের দেখে কি করতেন?

ভ। শিশুমতি বালক নির্জনে হঠাৎ একটা ভয়ঙ্করী রাক্ষসী দেখলে যেমন মা মা করে আর ভয়ে জড়সড় হয়, তেমনি ঠাকুর মা মা করে একেবারে বাহ্যজ্ঞানশূন্য হয়ে যেতেন।

পা। আর ঐ বেশ্যারা?

ভ। বেশ্যারা কেউ চিৎকার করে পালিয়ে যেত, কেউ বা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদত। মথুরবাবু বেশ্যা লাগিয়ে একবার ঠাকুরের ভারি শক্ত পরীক্ষা করেছিলেন। লছমীবাঈ বলে এক বেশ্যা ছিল - সে মুনির মন টলাতে পারত। সে সুন্দরীও যেমনি, তার ঘর-দুয়ার সাজসজ্জাও তেমনি, ঠিক যেন অপ্সরী। মথুরবাবু একদিন তার সঙ্গে পরামর্শ করলেন, 'তুমি অমুক দিনে সন্ধ্যার সময় তোমার মতো আর পনের জন সুন্দরীকে বেশ করে সাজিয়ে তোমার ঘরে এনে রেখো, আমি ছোট ভটচাযকে সঙ্গে নিয়ে যাব। কেউ ওঁর মন টলাতে পারেনি, যদি তুমি পার তাহলে আমি বিশেষ পুরস্কার দেব।' সে বললে, 'এটা আর আশ্চর্য কি? কত বড় বড় মাথা মুড়িয়েছি, এ অতি সামান্য কথা।'

তারপর নির্ধারিত দিনে বাঈজী তার ঘরে যত সাজ বেশ ছিল সব গায়ে দিয়ে আর ঐ রকম পনের জনকে সঙ্গে নিয়ে যত রকমের ফাঁদ আছে, সেগুলি সব যোগাড় করে নিয়ে বাঘিনী শিকার ধরবার জন্যে যেমন থাবা গেড়ে বসে থাকে, সেও সেই রকম করে রইল। মথুরবাবু বিকালবেলায় ফিটন-গাড়িতে বড় বড় দুটো ঘোড়া জোতালেন, আর ঠাকুরকে বললেন, 'চল বাবা! গড়ের

No comments:

Post a Comment