ঘরে বিয়ে হবে, এরা তাদের প্রতিবাসী। তার পর যখন পাকা দেখবার আবশ্যক হয়, তখন হয় কনের বাপ, কি খুড়ো, কি মামা, কি ভাই, এদের যত লোকের আসার প্রয়োজন হয়। তখন বর প্রতিবাসীকে ছেড়ে কনের বাপ, কি মামা, কি ভাই, এদিগে চিনে। বিয়ে হয়ে গেলে সব ছেড়ে যায়, থাকে বর আর কনে। এখানেও ঠিক সেই রকম, গুরু পেলে আর বড় কেউ থাকে না, তখন কেবল গুরু আর চেলা।
রামকৃষ্ণদেব বলেন, গুরু ঘটক। নায়ক-নায়িকার সম্মিলন-কাজে যেমন একজন ঘটকের আবশ্যক, ভগবানে ও জীবে মিলনের জন্য তেমনি গুরুর দরকার। এই গুরু রামকৃষ্ণদেব। তোমরা শুনেছ তিনি কৃপা করে একবার ছুঁয়ে দিলেই, লোক আপনার গুরু তাঁর ভিতরে দেখতে পেতেন। ভগবান না হলে কার সাধ্য ভগবান দিতে পারে? তিনি আপনি ছুঁয়ে শক্তি দিয়ে আপনাকে দেখিয়ে দিতেন।
রামকৃষ্ণদেব কেমন গুরু তোমাকে সংক্ষেপে বলি শুন:
রামকৃষ্ণদেবকে কেউ একবার ধরে তারপর যদি ছেড়ে দেয়, তিনি আর ছাড়েন না; সে ভুললে তিনি আর ভুলেন না, সে টললে তিনি আর টলেন না।
রামকৃষ্ণদেবকে বন্ধু বলে একবার বাঁধন দিয়ে কেউ যদি খোলে, তিনি আর খোলেন না। রামকৃষ্ণদেবের সঙ্গে একবার যার ছোঁয়াছুঁই হয়ে গেছে, তিনি যে আবার কাম-কাঞ্চনে আসক্ত হবেন, সে পথে একেবারে কাঁটা।
রামকৃষ্ণদেবের ভাবাবেশের আশাবাণী - আমি যাকে ধরব, তাকে নিজের বরণ ধরিয়ে ছাড়ব। কাঁচপোকা আরসোলাকে ধরলে আরসোলার কাঁচপোকার বর্ণ হয়।
তাঁর আর একটি ভাবাবেশের কথা - আমি জাত-সাপ, যাকে একবার ছোবলাব, তাকে তিন ডাকের বেশি আর ডাকতে হবে না।
No comments:
Post a Comment