Thursday, March 29, 2018

৫০

মাঠে বেড়িয়ে আসি।' ঠাকুর রাজি হলেন। মথুরবাবু গড়ের মাঠে বেড়িয়ে ঠিক সন্ধ্যার পর যথাস্থানে উপস্থিত। বাহির থেকে খবর নিলেন, সব ঠিক। মথুরবাবু ঠাকুরকে সেই ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে সরে পড়লেন।

পা। ঠাকুর কি করলেন?

ভ। ঠাকুর ঘরে ঢুকেই মা মা করে গীত গাইতে গাইতে সমাধিস্থ হয়ে পড়লেন; একমাত্র পরিধেয় বস্ত্রখানি কোমর থেকে খসে গেল; ঠাকুর দিগম্বর।

পা। আর বেশ্যারা?

ভ। বেশ্যাদের বুদ্ধিশুদ্ধি লোপ। কেউ বাতাস করতে লাগল, কেউ কি করবে বুদ্ধিহারা হয়ে হাঁ করে দাঁড়িয়ে রইল, কেউ বা মুখে জল দিলে, আর কেউ কেউ 'মথুরবাবু, মথুরবাবু' বলে চিৎকার করতে লাগল। মথুরবাবু তাদের চিৎকার শুনে বুঝলেন, একটা কি ঘোর বিপদ হয়েছে। এসে দেখেন, ঠাকুর সমাধিস্থ। বেশ্যারা মথুরবাবুকে বকতে লাগল, আর বলল, "আহা! এমন ছেলে-মানুষকে কি এমন করতে হয়।" মথুরবাবু তাদের শান্ত করে দাঁড়িয়ে রইলেন। ঠাকুরের যেমনি বাহ্য চেতন এল অমনি সেই আবেশ অবস্থায় তাঁকে গাড়িতে নিয়ে পালিয়ে এলেন।

তারপর মথুরবাবু লজ্জায় আর ঠাকুরের কাছে মুখ দেখাতে পারেন না। মহা বিপদ!

পা। কি আশ্চর্য! মানুষ যদি সুন্দরী যুবতীকে দেখে, তা হলে লজ্জা কুলশীল মনুষ্যত্বের বাইরে বেরিয়ে পড়ে, আর এখানে ঐ রকম ষোলটা! আমার তো এই কথা শুনে বেশ মনে লাগছে যে, বাস্তবিক ভগবান ভিন্ন এমন ধারা কেউ পারে না। আমরা থিয়েটারের লোক, আমাদের ঐ বিষয়ে মানুষ চিনতে তো বাকি নেই।

No comments:

Post a Comment