যায় না, তেমনি আগে বিগ্রহরূপ না বুঝতে পারলে বিরাটরূপ বুঝা যায় না। আমি যেমন দেখছি বলি শুন:
অগণ্য রকমের ছোট বড় পাত্র যদি সাগরের জলে ডুবিয়ে রাখা যায় তাহলে প্রত্যেক পাত্রের ভিতরে সাগর যেমন ভাবে থাকে, তেমনি রামকৃষ্ণদেবকে আমি প্রত্যেক বস্তুর মধ্যে দেখছি। এতে পূর্ণ কি অংশ বুঝে নাও। তবে এই যে ছোট বড় পাত্র দেখছ, কোনটায় কম জল ধরে, কোনটায় বেশি জল ধরে, সে শক্তির খেলা মাত্র।
পা। যদি প্রত্যেক ঘটে অর্থাৎ জীবে সেই সাগরের জল, তবে জীবের মধ্যে ভাল, মন্দ, সৎ, অসৎ ইত্যাদি এত রকমারি কেন?
ভ। সে গুণের জন্য। রামকৃষ্ণদেবের কথা - জল মাত্রই নারায়ণ। তবে এই জল নানা রকমের। কোন জলে খালি হাত-পা ধোওয়া চলে, কোন জলে স্নান করা চলে, কোন জল এমন পবিত্র যে তার বিন্দু-পানে কি স্পর্শে জন্ম-জন্মান্তরের পাপ যায় - আবার এমন জল আছে, যাকে ছোঁয়াও যায় না। এই রকম, রাম সব ঘটে রয়েছেন; কোথাও সাধু রাম, কোথাও লম্পট রাম, কোথাও চোর রাম। কোন রামকে নিয়ে আদর করতে হয়, কোন রামকে দূরে রেখে চলতে হয়।
রামকৃষ্ণদেবের অপর উপমা - সেই শ্যামা কোথাও খাঁড়া ধরে শ্রীমন্দিরে; কোথাও বৌ হয়ে কোণে ঘোমটা দিয়ে বসে, আর কোথাও বারাণ্ডায় হুঁকো হাতে করে রয়েছেন।
"সর্বঘটে বিরাজ করে, ইচ্ছাময়ীর ইচ্ছা যেমন।"
যত দিন না রামকৃষ্ণদেবের কৃপা হয়, ততদিন এই যে শক্তির খেলা, এসব কিছুই বুঝা যায় না।
পা। ভগবান যখন সকল হয়েছেন আর তিনি চৈতন্যস্বরূপ, তখন পাহাড় পাষাণ প্রভৃতি জড়ের মধ্যে চৈতন্যের খেলা কই?
No comments:
Post a Comment