Thursday, March 29, 2018

১০০

করছেন সর্বেসর্বা। আর এক কথা, প্রকৃতি-শক্তিই যদি আধার আধেয় ও যাবতীয় সৃষ্ট বস্তু, তবে পুরুষ গেলেন কোথা?

ভ। রামকৃষ্ণদেবের কথা - যতদিন গুরুর কৃপায় ঈশ্বরলাভ ও আত্মদর্শন না হয়, ততদিন এ-সকল ঈশ্বরীয় তত্ত্ব বড়ই জটিল ও দুর্বোধ্য। ঈশ্বরলাভ না হলে হাঁকাহাঁকি, ডাকাডাকি ও ছুটাছুটি ফুরায় না। কিন্তু একবার ঈশ্বর-দর্শন ও আত্মদর্শন হলে অন্তর্জগৎ ও যাবতীয় তত্ত্ব দিবালোকের ন্যায় প্রত্যক্ষ হয় এবং যাবতীয় সন্দেহ বিদূরিত হয়।

সেই অনাদি, অখিল, একেশ্বর যে নামেই অভিহিত হোন না কেন, এক বই আর দুটি বস্তু নেই। তাঁর দুটি অবস্থা - এক নিত্য, অপরটি লীলা। নিত্যাবস্থায় তিনি কিম্ভূতকিমাকার, তা তিনিই জানেন, এটুকু বলেই নিত্যাবস্থার কথা শেষ হলো, কিন্তু লীলাবস্থায় সেই এক বস্তু এত রকমে পরিণত হয়েছেন যে, তাঁকে তুমি যা বলবে, তিনি তাই, আর সে সম্বন্ধে দেখবার, বলবার, শোনবার এত যে, যুগ-যুগান্তর দেখে বলে শুনে তার একতিলও শেষ হবার নয়।

যিনি পুরুষ তিনি প্রকৃতি। একেই দুই বটে, অথচ উভয়ে অভেদ। দুয়ে মিলে এক। লীলার জন্য বা সৃষ্টির জন্য এক থেকে দুই হয়েছেন - সে কেমন জান? যেমন একটি ছোলা, জল পেয়ে দুটি দানাতে বিভক্ত, ফল হলো দুই দানার মধ্যে অঙ্কুরোদ্গম; তেমনি ঠিক এক বস্তু, পুরুষ-প্রকৃতিভাবে পরিণত হয়ে সৃষ্টির উৎপত্তির কারণ হলেন। পরমাত্মা বা ব্রহ্ম স্ব-স্বরূপে যে অবস্থায়ই থাকুন না কেন, লীলার অবস্থায় অর্থাৎ সৃষ্টি করতে হলে তাঁর শক্তির প্রয়োজন হয়। শুধু মাটিতে যেমন গড়ন হয় না, তাতে জল মিশান চাই, তেমনি লীলার স্থলে একা ব্রহ্মে কাজ হয় না, শক্তির বিশেষ প্রয়োজন। সে এক বস্তুই লীলায় একভাবে পুরুষ আর একভাবে প্রকৃতি। বস্তুর কিছুমাত্র প্রভেদ নেই, তবে লীলায় বিবিধ অবস্থাগত

No comments:

Post a Comment