Thursday, March 29, 2018

১০১

হয়ে প্রভেদ দেখাচ্ছেন মাত্র; যেমন ময়দা-পেষা জাঁতা। জাঁতাতে আছে কি? দুখানি চক্রাকার প্রস্তর। একখানির উপরে আর একখানি স্থাপিত। নিচের পাথরের ঠিক মধ্যস্থলে একটি কাঠের কীল আছে, আর উপরের প্রস্তরের ঠিক মধ্যস্থানে একটি ছিদ্র আছে। ছিদ্রের ভিতর কীলটি পরিয়ে দিয়ে দুখানি প্রস্তরকে একত্রে কার্য করানোতে কার্য-ফল যেমন ময়দা, ঠিক তেমনি এক বস্তু দুইভাবে পরিণত হয়ে উভয়ে কার্য করায় কার্য-ফল এখানে সৃষ্টি। তুমি তাঁকে শুধু পুরুষও বলতে পার, শুধু প্রকৃতিও বলতে পার, আবার পুরুষ-প্রকৃতিও বলতে পার। যেখানে পুরুষ ও প্রকৃতি এ দুই ভাবে খেলায় রত, সেখানে তাঁর লীলাবস্থা। লীলাতে পুরুষের চেয়ে শক্তির খেলাই বিশেষ দেখতে পাওয়া যায় - এ বিষয়ে ঠাকুরের উপমা কি জান? ঘরে যেমন একজন কর্তা আছেন, তিনি বুড়ো আর খুব গুড়ুক-খোর। রাতদিন তাঁর কর্ম খালি তামাক খাওয়া, কথা মোটেই কন না; নেহাত কথা কইতে হলে জোর বলেন 'হুঁ'। আর বাড়ির কাজ-কর্ম যা কিছু করতে বা দেখতে হয়, সব গিন্নির উপর ভার। গিন্নি খুব পাকা গিন্নি; কাজের যা ব্যবস্থা, তা সব জানেন ও করেন, কেবল কর্তার সায় নেবার জন্য একবার জিজ্ঞেস করেন মাত্র। গিন্নি হাজার পাকা হলেও কর্তাকে জিজ্ঞেস না করে কোন কাজ করেন না আর করবার উপায়ও নেই। কাজের যত কিছু বেওয়া, গিন্নি কর্তার কাছে সব আউড়ে গেলেন; কর্তা সবগুলি শুনে উত্তর করলেন 'হুঁ'। গিন্নি কর্তার 'হুঁ'-টি পেয়ে কর্মক্ষেত্রে ফিরে এলেন, আর নানাদিকে নানা হুকুম চালিয়ে কাজ করতে থাকেন। কর্মক্ষেত্রে যারা থাকে বা যারা আসে, তারা গিন্নিকেই সর্বেসর্বা দেখছে ও বুঝছে। কর্তা আছেন কি না, তার কোন লক্ষণই পায় না; এখানে লীলাক্ষেত্রেও তাই, শক্তির খেলাই লক্ষিত হয় এবং তাঁরই প্রাধান্য দেখতে পাওয়া যায়। লীলাতে রাজরাজেশ্বরীর

No comments:

Post a Comment