Thursday, March 29, 2018

চেঁচিয়ে বললেন, 'আয় কে কোথায় আছিস, শীঘ্র পায়ের ধুলো নে', আমি তাড়াতাড়ি এসে পায়ের ধুলো নিলুম আর বললুম (সে সময় চোখে একফোঁটা জলও এল), 'ঠাকুর, কৃপা কর।' তারপর থেকে আমি কেমন একটু একটু বুঝতে পাচ্ছি, আর আমাকে একটা কেমন কেমন করেছে! আমি দেখেছি, এ ঠাকুরেরই কৃপায় বুঝতে পাচ্ছি। আর একটা মজা, যত এ ঠাকুরের কথা শুনি বা বলি - যা আমি কখনো জানতুম না, তাও আমি বুঝতে পারি।

প্র। ঐ যে বললি আমাকে কেমন কেমন করেছে - ওর মানে কি? তোকে কি করেছে? তোর কি হয়েছে - ভেঙে বল।

পা। আমি ঐ যা বলেছি, ওর বেশি কিছু আর বলতে পারব না। তবে কেমন জানবি - যেমন খুব ঘুমিয়েছিলুম, এখন ঘুমটা ভাঙা ভাঙা।

প্র। আমি তোর কথা কিছু বুঝতে পারিনে - হ্যাঁ, ভাই, কি করে তোর মতো বুঝতে পারব।

পা। চল, এই তো সেই ঠাকুরের কাছে যাচ্ছি। আমিও আবার কিছু মাগব, তুইও কিছু মাগিস।

প্র। আমি কি মাগব, কিছু বুঝতে পাচ্ছিনে; তুই বলে দে।

পা। যাঁর কাছে যাচ্ছিস, তিনিই বুঝিয়ে দিবেন, মাগিয়ে দিবেন।

এমনি রামকৃষ্ণদেবের মহিমা - তাঁর কথার এমনি মহিমা! প্রবোধ ও পাঠক যত ঠাকুরের কথা বলছে, ততই তাদের চৈতন্যোদয় হচ্ছে এবং ঠাকুরের লীলার ভিতর বুদ্ধি প্রবেশ করছে। রামকৃষ্ণ নামই মহামন্ত্র - রামকৃষ্ণ কথার আন্দোলনই সাধন-ভজন। লীলাকথা কীর্তন করতে করতেই জীবের চৈতন্যোদয় হয়। কাঠে কাঠে ঘর্ষণ করলে যেমন সর্বভুক অগ্নির উৎপত্তি হয়, ঠিক সেই প্রকার রামকৃষ্ণকথা আন্দোলন করতে করতে তমোনাশী চৈতন্যের উদয় হয়।

No comments:

Post a Comment