টান, সোজা হলো আর ছেড়ে দাও তখনি কুণ্ডলী পাকিয়ে গেল। মনের দুটি অবস্থা - মলিন ও শুদ্ধ। মলিন অবস্থাতে মনকে বিশ্বাস করা যায় না। শুদ্ধ অবস্থায় যদি তাকে ঈশ্বরের পাদপদ্মে বেঁধে রেখে দেওয়া যায়, তাহলে ঠিক থাকে, নচেৎ সংসারে ছেড়ে দিলে আবার মলিন অবস্থায় (অপবিত্র অবস্থায়) গিয়ে পড়ে। ঠাকুর বলতেন, যেমন হাতির গা ধুইয়ে দিয়ে যদি হাতিশালে বেঁধে রাখা যায় তাহলে পরিষ্কার থাকে, নচেৎ ফাঁকে ছেড়ে দিলে আবার গায়ে ধূলা মেখে সে যেমনি ময়লা গা, তেমনি ময়লা গা করে ফেলে। শুদ্ধ অবস্থায় মনের আর মন নাম থাকে না, তখন তার নাম হয় চৈতন্য। চৈতন্য হলে যে চৈতন্যে জগৎ চৈতন্যময়, সে চৈতন্যময়ের সাক্ষাৎকার লাভ করে, তখন আর নিচে নেমে বদমাইশি করতে পারে না।
মনের একটা স্বভাব - তুমি তাকে যেখানে রাখবে, সে তখন তার মতো হয়ে থাকে। জড়ের সঙ্গে রাখ, জড় হয়ে থাকবে; চৈতন্যের সঙ্গে রাখ, চৈতন্য হয়ে থাকবে। যেমন অঙ্গারকে মাটিতে ফেলে রাখলে মাটির মতন হয়ে থাকবে, আবার আগুনের সঙ্গে রাখ, আগুন হয়ে থাকবে।
একটা তারে ঝঙ্কার দিলে যেমন তাতে নানা সুর বেরোয়, তেমনি মন আপনাতে আপনি ঘা দিয়ে নানা সুর গায়। প্রাণীর শরীর মনের বীণাযন্ত্র। শরীর চারি রকমের - স্থূল, সূক্ষ্ম, কারণ ও মহাকারণ। স্থূল শরীরে যখন মন খেলে, তখন কাম-কাঞ্চনের পেছু পেছু ঘুরে বেড়ায়; তখন কাম-কাঞ্চন ছাড়া যে আর কোন জিনিস আছে, তা তার আক্কেলেই থাকে না। সে তখন খালি জানে খেতে, ঘুমুতে আর ইন্দ্রিয়সেবা করতে।
যখন সূক্ষ্ম-শরীরে খেলে, তখন দেহীর গা গরম হয়। সে মনের খেলা তখন দেখতে পায়, সে তখন মনের সঙ্গে লড়াই
No comments:
Post a Comment