হেন প্রভু বিশ্বপতি, তাঁহার লীলার গতি,
সাধ্য কার করে নিরূপণ।
আকাশ মাটির সনে, মিশে গেছে যেইখানে,
সে নয় তাদের আয়তন॥
শ্রীপ্রভুর লীলা-রাজ্য, মহতী অব্যক্তাশ্চর্য,
আদি-অন্ত-বিহীন আভাস।
অবিরত যুক্ত করে, যাবতীয় অবতারে,
নিরাপদে মধ্যে করে বাস॥
রাজ-রাজ রামকৃষ্ণ, বিচারে সকলে তুষ্ট
বিবাদ-বিদ্বেষ-বিভঞ্জন।
যার যাহা অধিকার, তিল নহে নষ্ট কার,
সমভাবে সকলে পালন॥
গোকুল বেদান্ত আদি, যেখানে যাবৎ বিধি,
মত পথ ব্যক্ত চিরকাল।
সকলে ধরিয়া বক্ষে, সমান যতনে রক্ষে,
কৈলা প্রভু বিশ্ব ধর্মপাল॥
রামকৃষ্ণদেবের সব অলৌকিকত্ব। তাঁর গোটা জীবনটি অলৌকিকত্বে ভরা। তাঁর লৌকিকত্ব কিছুই নেই। তাঁর কথা এখন পর্যন্তও কিছুই হয়নি। আমি যখন লীলাকথা বলব, তখন তোমাকে দেখিয়ে দিয়ে যাব যে, আজ পর্যন্ত অর্থাৎ রামকৃষ্ণদেব অবতীর্ণ হবার পূর্বে যত অবতার হয়েছেন, আর তাঁরা যা করেছেন একা রামকৃষ্ণদেব সেই সব করেছেন, আবার তার চেয়ে কিছু বেশি করেছেন। এখন কেবল তোমাকে রামকৃষ্ণদেবের দুই-চারিটি উক্তি-গীতা বলছি মাত্র।
এই উক্তি-গীতা রামকৃষ্ণদেবের মহামন্ত্র-বাক্য। এই উক্তিগুলির ভিতরে রামকৃষ্ণদেব বিশ্বজনীন ধর্মের সারতত্ত্ব রেখে গেছেন। মাঘের হিমানী পরমাণুরূপে পড়ে, কিন্তু সেই হিমানীর এত শক্তি যে, পাষাণ
No comments:
Post a Comment