চেয়েও ভালবাসে, রাই আরও ভালবাসে, সে বড় সুন্দর - আমি এ-সকল জানি। একটা গান বলি শুন, তাহলেই ভাবটা বুঝতে পারবে।
যাওয়ে বৃন্দাবনকি চাঁদ, যাওয়ে গোঠবিহারী।
যাওয়ে প্যারী-মোহনীয়া, যাওয়ে বনওয়ারী।
অলকা-তিলকা-শোভিত ভাল, শোভয়ে গলে বনমাল,
জড়িত বাস তড়িত জাল, গোপীগণ-মনোহারী।
মোহনীয়া চূড়া পাখড়ি শিরে, হেলত দুলত পবনভরে,
আঁখি না পালটি রহতুঁ দূরে, নিরখে গোপনারী।
চরণে নূপুর রুনুঝুনু বাজে, হাসত নাচত রাখালমাঝে,
চন্দ্রমা যেসা তারকামাঝে, ঝলকে কিরণ ডারি।
আগে আগে সব চলত ধেনু, চলত পিছুই বাজাই বেণু,
কব্ হি হাম পাওয়ে কানু, মোহন মুরলীধারী।
আমার শাস্ত্রজ্ঞানের কথা বলতে বলতে কোথায় এসে পড়েছি।
পা। এটা ভারি রগড়ের কথা - বলুন, এতে রামকৃষ্ণদেবের জ্বলন্ত মহিমা দেখতে পাচ্ছি।
ভ। আমি পরমহংসদেবকে একদিনও কোন কথা বলিনি বা কিছু জিজ্ঞেসও করিনি, তবে এইটি জানতাম যে, তিনি যার বুকে হাত দেন, সে তখনি বাহ্যজ্ঞানশূন্য হয়ে যায়, আর ঐ অবস্থায় সে কৃষ্ণ দেখতে পায়। আমি ঐ আশায় তাঁর কাছে যেতে লাগলাম - শুধু যে ঐ আশায় তাও নয়, তাঁকে দেখলে কেমন কেমন হতুম, তাই যেতুম, আর মনে মনে ভাবতুম, কবে কৃপা করে আমার বুকে হাত দেবেন। কত দিন গেল, তিনি আর বুকে হাত দেন না। আমি আশা করে যাই আর নিরাশ হয়ে কাঁদতে কাঁদতে ফিরে আসি। জীবনে মোটে দুটি কথা তাঁকে বলেছিলুম। একবার একদিন
No comments:
Post a Comment