Thursday, March 29, 2018

৬৫

পাবে পাবে। শ্রীমুখে একবার বললেই যথেষ্ট, তবে যে তিনি তিনবার বললেন, এর মানে - এখনকার জীব একেবারে বিশ্বাসহারা, ভক্তিছাড়া, অবিদ্যার রূপে মরা, বিষয়বিষে জর্জরিত; তবু যদি বিশ্বাস করে, তাই তিনি তিনবার বললেন। ঠাকুর বলতেন, কলির জীবকে ষোল টাং বললে যদি এক টাং নেয়। তাই শিক্ষায় ও কর্মে ঠাকুর ষোল টাং দেখালেন।

যে ঠাকুরের এই কথা, বুঝ দেখি তাঁর দয়া-করুণার কি আর সীমা আছে? এতেও মানুষ ঠাকুরকে নিলে না, ঠাকুরের কথায় কান দিলে না। এদের নাম জীব, এদের নাম মানুষ। হে রামকৃষ্ণদেব! আর যা দাও দিও; যেখানে রাখতে হয় রেখো, কিন্তু ঠাকুর! দোহাই তোমার, মানুষের মতো বুদ্ধিটি দিও না, আর এমন মানুষের সঙ্গে রেখো না। এই তো মানুষ সামান্য ধন, মান, যশ, পদের জন্য লালায়িত, কিন্তু ভগবান, তুমি কোথায় বা তোমাকে কি করে পাব, একথা কেউ বলে না। এই তো মানুষের বুদ্ধি - কাঞ্চন ফেলে কাঁচের আদর করে; মণির হার ফেলে কালকূটভরা ফণীকে কণ্ঠে পরে। জীবের কথায় প্রাণ শিউরে ওঠে। ভাই, প্রাণভরে বল, 'জয় রামকৃষ্ণদেবের জয়।'

শোন, প্রাণ-জুড়ানো ঠাকুরের কথা শোন। ঠাকুরের ভাণ্ডার কেমন শোন, ঠাকুর দয়াল কত শোন, ঠাকুরের আশা-ভরসা দেওয়া কত শোন; ঠাকুরের মহিমা শোন; ভাবাবেশে একদিন বলছেন - ওরে, যে একবার এসে একটা নমস্কার করবে; তার আর ভয় কি? ওরে, যে শরণাপন্ন হবে, তাকে কিছু করতে হবে না। আমি অনেক দিন কঠোর তপস্যা, সাধন-ভজন করে আমার ভিতরে একটা ছাঁচ তৈরি করে রেখেছি; ঐ ছাঁচে ফেলে দিব, অমনি গড়ন হয়ে যাবে; এ ছাঁচটার সঙ্গে টাঁকশালের কলের উপমা। টাঁকশালে এদিকে রূপার ডেলাটা ফেলে দিলে তখনই ওদিকে রানীর মুখ সহিত ঝকমকে

No comments:

Post a Comment