Thursday, March 29, 2018

৯৮

না যে, সে তোমাতে ভিতরে ঢুকে বেদের বানরের মতো খেলাচ্ছে। যতদিন না মায়াত্যাগ হয়, ততদিন ঘরের ভিতর প্রবেশের কোন উপায় নেই।

পা। মায়া যায় তবে কিসে?

ভ। মায়াকে চিনতে জানতে পারলেই, সে পালায় - সে কেমন জান? - এক গেরস্থর ঘরে চোর ঢুকেছে, এমন সময় যদি গেরস্থ টের পায়, তাহলে চোর যেমন পালিয়ে যায়, তেমনি মায়াকে জানতে পারলেই মায়া ত্যাগ করে।

ঠাকুরের একটি সুন্দর গল্প শোন - একজন মন্ত্র-ব্যবসায়ী গোঁসাই বামুন শিষ্যবাড়ি যাবেন; তাঁর তল্পিদার নেই। এখানে সেখানে, খুঁজতে খুঁজতে একটা মুচির সঙ্গে দেখা হয়। ব্রাহ্মণ মুচিকে বললেন, "ওরে, আমার তল্পি নিয়ে যাবি?" সে বললে, "ঠাকুর আমি যে মুচি।" ব্রাহ্মণের খুব দরকার, তিনি বললেন, "তা তুই চল্, আমি কাকেও বলব না।" মুচি স্বীকার করল, কিন্তু সেই সঙ্গে বললে, "যদি কেউ আমাকে চিনতে কি জানতে পারে, তা হলে আমি তখনই পালিয়ে আসব।" ব্রাহ্মণ তাতেই সায় দিলেন। পরে তল্পি সাজিয়ে ঘর হতে বেরুলেন এবং এক ব্রাহ্মণ-শিষ্যের বাড়িতে হাজির হলেন। মুচি ভয়ে চুপচাপ মেরে একধারে আলাদা বসে থাকে।

একদিন ঐ শিষ্য-বাড়ির একজন তল্পিদারকে ভাল জাতি জ্ঞানে অনুমতি করেন, "ওরে মুখ ধুব, ঝারিটা সরিয়ে দে তো।" তল্পিদার সশঙ্ক, ভয়ে জড়-সড়, ঝারি ছুঁতে আর সাহস করে না। মুচি যত সঙ্কোচ করে আজ্ঞা-পালনে দেরি করছে, ততই ঝারি সরিয়ে দেবার জন্য কড়া হুকুম বার বার উচ্চৈঃস্বরে বেরুচ্ছে। তল্পিদার নেহাত আজ্ঞা পালন না করায়, ব্রাহ্মণ রেগে বললেন, "বেটা, তুই মুচি না কি? ব্রাহ্মণ মানিস না?" তখন সে কাঁপতে কাঁপতে বললে

No comments:

Post a Comment