সব কাজ করবার শক্তি থাকে, তবে সব কাজের আবশ্যক হয় না।
তুমি তোমাদের রঙ্গালয়ের দৃষ্টান্তে বুঝে লও। তোমাদের 'জনা' অভিনয়ে অনেক চরিত্রের অভিনয় আছে, কিন্তু তুমি কেবল বিদূষকের চরিত্রটিই অভিনয় কর; কিন্তু যদি রাজার, কি শিবের, কি গঙ্গারক্ষকের, কি অর্জুনের চরিত্র অভিনয় করতে হয়, তাহলে কি পার না? পার - তবে আবশ্যক হয় না; তেমনি সেই সর্বশক্তিমান ভগবান যে অবতারে যা দরকার, সেই অবতারে তাই করেন। এই রামকৃষ্ণ-অবতারে সব আদর্শ অবতারের খেলা দেখানো আবশ্যক হওয়ায়, সব দেখিয়েছেন। তার আবার অবতারের মধ্যে ছোট বড় কি আছে?
পা। আপনার কথায় তো বেড়ে মজা দেখছি - যেন কি দেখছি। রামকৃষ্ণদেব ভগবান! আমরা তাঁকে বার তের বৎসর পূর্বে দেখেছি, ছুঁয়েছি, কই তাতে কি হলো?
ভ। তাঁকে দর্শন করে কিছু হয়নি, এমন কথা মনে আনতে নেই। তোমাদের খুব হয়েছে, তবে বুঝতে পারছ না বটে। দুর্লভ জিনিস সহজে পেলে জিনিসের কিম্মত জানা যায় না, মানুষে তা জানতেও পারে না। তোমাদের কি হয়েছে শুনবে? তোমরা ভববন্ধন থেকে মুক্ত হয়েছ; তার উপর তাঁর কৃপা পেয়েছ, রামকৃষ্ণদেবের মহল্লীলা শুনতে লালায়িত হয়েছ, আবার সকলের সার তাঁর স্বরূপ জানতে ব্যগ্র হয়েছ। মানুষের ভাগ্যে এর চেয়ে আর কি হয়? ঈশ্বরীয় কথা শ্রবণ, ঈশ্বর-দর্শন - মনুষ্যজীবনের প্রধান উদ্দেশ্য। মানুষ কাম-কাঞ্চনের দাস, কাম-কাঞ্চনের জন্য লালায়িত! তোমরাও বরাবর তাই ছিলে, আজ যে কর্মের ফলে ভগবৎ-পাদপদ্মে অনুরক্ত হয়েছ, সেই কর্মটিই রামকৃষ্ণদর্শন।
পা। আমরা রামকৃষ্ণদেবকে বার তের বৎসর পূর্বে দর্শন করেছি,
No comments:
Post a Comment