টেপা, আর ওদিকে ছবিটিও ওঠা। যার অন্তরে ছবিটি উঠল, সে ঠাকুরের কথাটি শুনে আর ছবিটি দেখে বিষয়টি একেবারে বুঝে নিলে, দেখে নিলে, আবার চিরকালের মতো সঞ্চয় করে রাখলে। আর লোকে যে কথা কয়, সে হাওয়ার কথা, এ কান দিয়ে ঢুকল আর ও কান দিয়ে বেরুল; কিছু তার একটা চিহ্ন থাকে না। যেমন যখন জলে জাহাজ চলে যায়, তখনি জলে একটা দাগ পড়ে, তার পরেই সব মিলিয়ে যায়, এত বড় জাহাজটা জলটাকে দুখানা করে দিয়ে গেল, তার কোন চিহ্নই রইল না; তেমনি মানুষের কথা, বলবার সময় খুব ধুমধাম কিন্তু একটা চিহ্ন রাখতে পারে না, মানুষের অন্তরে ঢুকে না, যদি ঢুকে তো ঠাঁই পায় না। ছেলেরা জলে খোলামকুচি নিয়ে ছিনিমিনি খেলে, খোলামগুলো জলের উপর দিয়ে তরতর করে লাফিয়ে চলে যায়, জলের ভিতরে আর যায় না।
ঠাকুরের কথার আর একটা মহিমা বলি শোন। ঐ যে অন্তরে কথার প্রতিমূর্তি উঠল, ঐ ছবি জীবন্ত হয়। জীবন্ত হয়ে বীণাবিনিন্দিত কণ্ঠে রামকৃষ্ণদেবের মহিমা গীত গায়, অতি মধুর গীত; শুনলে দাবানল জল হয়। কখন গায় জান? - যখন তুমি শোকাকুল হয়ে পড়েছ, যখন তোমার অন্তরে অবিদ্যা-মায়া আগুন জ্বালাবার চেষ্টা পাচ্ছে, সেই মুশকিলের সময়। আর কি করে জান? যদি চোর ডাকাতে ধরতে আসে, তাহলে পরম বন্ধুর মতো অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে তুমি না ডাকতে ডাকতে আপনি বেরিয়ে এসে এমন তর্জন গর্জন করে যে, ভয়ে দস্যুরা কোন দিকে পালাবে, তার পথ পায় না। অবিদ্যার বাজারে চোর-ডাকাতের তো অভাব নেই। কেবল চোর-ডাকাতেরই রাজ্য। আনাচে কানাচে চারদিকে উঁকি মারছে, এমন সহায় না থাকলে কি আর রক্ষা আছে? এ চোর-ডাকাত
No comments:
Post a Comment