রইলেন, তবেই জ্ঞান দেখা পেলেন, নচেৎ অন্দর থেকে কখন ঈশ্বর আসবেন, এ প্রতীক্ষা করে জ্ঞানকে বসে থাকতে হয়; কিন্তু ভক্তি স্ত্রীজাতি, তিনি যদি দেখলেন ঈশ্বর সদরে নেই, অমনি অন্দরে গেলেন ও ঈশ্বরের সঙ্গে দেখা করলেন। ভক্তির সদর ও অন্দর উভয় স্থানেই যাবার অধিকার আছে; জ্ঞানের অন্দরে যাবার অধিকার নেই। এ জ্ঞান-ভক্তির বলে ঈশ্বর-দর্শন যতদিন না হয়, ততদিন জীবাত্মার নানাবিধ দেহে প্রবেশ ও দেহত্যাগ অর্থাৎ জন্মমরণের পথ আর বন্ধ হয় না।
পা। কথাগুলি বড়ই মজার শুনছি - "ধরি মাছ, না ছুঁই পানি" - এ তো আগাগোড়া ভগবানের কর্ম দেখছি; এখন একটা কথা জিজ্ঞাস্য, জীবাত্মা কি রকমে বা কেমন ভাবে দেহে প্রবেশ করে, আর কেমন ভাবেই বা দেহকে ত্যাগ করে।
ভ। তুমি চন্দ্রগ্রহণে কি সূর্যগ্রহণে যে-ভাব, তা দেখেছ? এখানেও সে ভাব। চন্দ্র কি সূর্যকে যখন রাহু ধরে বা ছাড়ে, তখন রাহুকে কেউ দেখতে পায় না; তবে চন্দ্র কি সূর্যের অঙ্গে যে ক্রিয়া দেখা যায়, সে ক্রিয়াই যেমন রাহুর চন্দ্র কি সূর্যে প্রবেশ বা চন্দ্র কি সূর্য পরিত্যাগের জ্ঞাপক; তেমনি দেহাধারের কার্যকরী শক্তি বা তদভাবই জীবাত্মার দেহমধ্যে প্রবেশ এবং দেহত্যাগের পরিচায়ক। দেহের কতকগুলি সাধারণ লক্ষণে জানা যায় যে, জীবাত্মা কখন দেহে আছেন বা কখন দেহত্যাগ করলেন। এ বিষয়ে একটি বড় সুন্দর কথা আছে - জন্মের সময় সদেহে আসেন, মরণের সময় সে দেহটি ত্যাগ করে যান; এ আমার উপলব্ধি। দেহত্যাগের সময় দেহত্যাগ বেশ স্পষ্ট বুঝা যায়, কিন্তু জন্মের সময় দেহগ্রহণ কি রকমে হয়, এ বিষয়ে কোন উপলব্ধি নেই। জীবাত্মা পরমাত্মার হাতের পুতুল। জীবাত্মা নিজেও জন্ম-মরণ জানতে পারে না। মায়ার খেলার বেজায় কায়দা। মায়া তোমাকে কোন রকমে জানতে দেবে
No comments:
Post a Comment