Thursday, March 29, 2018

১২

পা। ভগবান মস্ত বড়, সর্বশক্তিমান। তিনি মনে করলে সব করতে পারেন - তিনি এই সৃষ্টির, এ দুনিয়ার মালিক। রাম ভগবান, কৃষ্ণ ভগবান। আমি এই বুঝি।

ভ। রামকৃষ্ণদেবও তাই।

পা। কই, আমরা কিছু বুঝতে পারিনি। আপনি বুঝিয়ে দিতে পারেন? রামকৃষ্ণ যে ভগবান, তার প্রমাণ কি?

ভ। প্রমাণ - রামকৃষ্ণলীলাদর্শন ও তাঁর কৃপা। ভগবান যখন অবতার হয়ে আসেন, তখন তাতে একটি লক্ষণ থাকে। সেটি কি তা জান? যে দেহে কোন লক্ষণই থাকে না সেই দেহধারী ভগবানের অবতার। অবতারে কোন লক্ষণই পাওয়া যায় না। অবতার উপলব্ধি ও প্রত্যক্ষের বিষয়। তিনি প্রত্যক্ষ হলে জানতে পারা যায় যে, তিনি লক্ষণাতীত - এই লক্ষণযুক্ত। আমার ধারণা এই।

পরমহংসদেব অবতারের একটি লক্ষণ দিতেন। তা এই: যে দেহে প্রেমভক্তির বন্যা বয়ে যায়, যিনি রাত্রিদিন ঈশ্বরপ্রেমে বিহ্বল, তিনিই দেহধারী ঈশ্বরের অবতার। যতদিন ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষ না পাওয়া যায়, ততদিন এই লক্ষণ কেউ বুঝতে পারে না।

আর একটি কথা বলতেন যে, অবতার অচিনে গাছের মতো। একরকম গাছ আছে, তার নাম অচিনে গাছ, তার মানে - কেউ তাকে চিনতে পারেনি। আবার তিনি পাহারাওয়ালার হাতের আঁধারে লণ্ঠনের উপমা দিয়ে বলেছেন যে, তাঁকে চেনাও যায় এবং দেখাও যায়। পাহারাওয়ালা রাত্রিতে গলিঘুঁজিতে পাহারা দেবার জন্য হাতে একটা লণ্ঠন রাখে, তাকে আঁধারে লণ্ঠন বলে। এই লণ্ঠনের এমন একটি গুণ আছে যে, যার হাতে থাকে, সে ঐ লণ্ঠনটি দিয়ে সকলকে দেখতে পায়, কিন্তু তাকে কেউ দেখতে পায় না। তবে যদি পাহারাওয়ালা ঐ লণ্ঠনটি আপনার নিজের দিকে ফিরিয়ে দেয়

No comments:

Post a Comment