লোকেরা হিন্দুদিগকে পৌত্তলিক ধর্মাবলম্বী বলে মনে প্রাণে ঘৃণা করেন, যে দেশের লোক বহুকালাবধি পাদরী ধর্মোপদেষ্টা এ দেশে পাঠিয়ে হিন্দুদিগকে আলোয় নিয়ে যেতে ব্যবস্থা করেন, আজ সেই সেই দেশের উন্নতিশীল তত্ত্বপিপাসুরা রামকৃষ্ণদেবকে যে ভক্তিপূর্বক পূজা করছেন, ইহা কি একটি লৌকিক অপেক্ষা অলৌকিক ব্যাপার নয়?
বিদেশীয় পণ্ডিতমণ্ডলী যখন পরমহংসদেবকে এরূপ পূজ্য আরাধ্য বলে বুঝেছেন, তখন এটা বুঝতে হবে যে, তাঁরা পরমহংসদেবের ভিতরে একটা নূতন আলো দেখতে পেয়েছেন। এখন জিজ্ঞাসা করি, বল দেখি সকল দেশে সকল জাতিকে, সকল ধর্মপন্থীকে, সকল তত্ত্বপিপাসুকে যিনি সমানভাবে আলো দেন, তিনি কে? অতি মূর্খকেও চির অন্ধকেও স্বীকার করতে হবে যে, তিনি জগদ্গুরু রামকৃষ্ণদেব। সেই চাঁদামামা রামকৃষ্ণদেব। তিনি যে কি ধর্ম দেখিয়ে গেলেন, যথাসাধ্য তা পরে বলব। রাম ও কৃষ্ণ যে রামকৃষ্ণদেব হয়ে জগৎকে মুগ্ধ করেছেন, এ কি তাঁর মহিমা নয়? এখানের লোক দেখতে যদি না পায়, তাহলে বলতে হবে, হয় তাদের চোখ-কানের বিকার ঘটেছে, কি বুদ্ধি বিগড়ে গেছে - নয় কোন কারণে দেখাশুনার পক্ষে একটা বাধা পড়েছে।
হাজার হাজার লোকের চোখ-কানের বুদ্ধির বিকার, একথা বললে আমার ছোট মুখে বড় কথা বলা হয়। তবে এ পর্যন্ত বলবার অধিকার আছে যে, যাঁরা রামকৃষ্ণদেবকে দেখবেন, তাঁরা যেন সরল প্রাণে, সাদা মনে ও সহজ বুদ্ধিতে দেখেন। যে বুদ্ধিতে মানুষ ভগবান হারিয়েছেন, যে বুদ্ধিতে পরনিন্দা পরগ্লানিকে সৎ জল্পনা বলে বুঝে রেখেছেন, যে বুদ্ধিতে অন্তরে দ্বেষ-হিংসার আগুন জ্বেলে রেখে পরম শান্তি ভোগ করছেন বলে গম্ভীর হয়ে বসে আছেন, যে বুদ্ধিতে মিথ্যা শঠতা প্রবঞ্চনাকে ঠাঁই দিয়ে গজমতিহার
No comments:
Post a Comment