পা। যেখানে লীলাশক্তির প্রভাবে খণ্ড খণ্ড হয়েছেন, সেখানেও সেই অখণ্ড পরমাত্মা কিভাবে আছেন?
ভ। ঠাকুর বলতেন, পিচকারীর ভিতর যেমন সেই পিচকারীর কাঠিটি থাকে অর্থাৎ নির্লিপ্ত ভাব। এ অবস্থায় সে অখণ্ড পরমাত্মার কার্য নেই, কেবল সাক্ষিস্বরূপ; আর খণ্ডরূপ জীবাত্মা সুখ-দুঃখ ভোগ করেন।
পা। আপনার মতে পরমাত্মাই মূল বস্তু, সে পরমাত্মাই অগণ্য প্রকৃতির আকারের ও গুণের জীবাত্মারূপে পরিণত; তা হলে মন, বুদ্ধি ইত্যাদি এগুলি কি?
ভ। জীবাত্মাকে তাঁর নিজের রস ও সৃষ্টি-রসসম্ভোগ করাবার জন্য পরমাত্মা মন, বুদ্ধি, ইন্দ্রিয়াদি যন্ত্রসকল করে দিয়েছেন। এরা জীবাত্মার রসসম্ভোগের যন্ত্রস্বরূপ।
জীবাত্মাতে মায়া থাকা হেতু জীবাত্মা পরমাত্মা থেকে পৃথক হয়ে গেছে। জীবাত্মাকে আর জানতে দিচ্ছে না যে, সে সেই জিনিস। সে মায়া নিয়ে 'আমি' 'আমি' ডাক ছাড়ছে। এ দিকে রূপরসের সৃষ্টিখানি, চোখের উপর দিয়ে কর্তা তারই মধ্যে লুকিয়েছেন। জীবাত্মারা মজার রসের দুনিয়া পেয়েছে, আবার সে-সকল রসসম্ভোগের প্রয়োজনমত যন্ত্রগুলিও পেয়েছে। এখন আর তাদের পায় কে? এ দুনিয়াকেই সুখের নিদান মনে করে খেলা করছে। কর্তা তো সৃষ্টি ছেড়ে যাননি, যদি কেউ সময়ক্রমে তাঁর আভাস পায়, তাহলে ঐ যন্ত্রগুলির সহায়েই তাঁকে ধরে ফেলে। যন্ত্রগুলির এমন গুণ আছে যে, তাদের যে-দিকে চালাবে, তারা সে-দিকেই নিয়ে যাবে। রূপরসে চালাও, রূপরসই দেখাবে আবার পরমাত্মার পানে চালাও, তাঁকেই দেখিয়ে দেবে। তবে একটা কথা, রূপরসে একবার মজলে আর অন্যদিকে নিয়ে যাওয়া বড়ই মুশকিল। একটা কথা মনে রেখো। জীবাত্মারা মায়ার ঘোরে মনে করছে যে, তারা স্ব স্ব প্রধান, স্বাধীন - কিন্তু
No comments:
Post a Comment