Thursday, March 29, 2018

২৮

ভ। এই জীব-জগৎ নিয়ে যে রূপটি সেটিই রামকৃষ্ণদেবের বিরাট রূপ। সেই বিগ্রহরূপধারী জগদ্গুরু রামকৃষ্ণদেব বিরাটে বহু হয়েছেন। স্থাবর, জঙ্গম, বৃক্ষ, লতা, গিরি, নদী, অনিল, অনল আর যাবতীয় প্রাণী যা দেখছ, যা শুনছ সেসব তিনি হয়েছেন। তিনি সকলের ভিতরে বাহিরে রয়েছেন। তিনি ভিন্ন আর কেউই নেই, আর কিছুই নেই। যা কিছু আছে, তা সেই তিনি।

পা। অদ্ভুত কথা - আপনি কি শাস্ত্রের কথা বলছেন আর ঈশ্বরের জায়গায় রামকৃষ্ণ নামটি বসিয়ে দিয়ে তাঁর মহিমা অযথাভাবে বলছেন? না - যা দেখছেন তাই বলছেন?

ভ। রামকৃষ্ণদেবের অপার মহিমা - রামকৃষ্ণদেব ঈশ্বর, তিনি সর্বেশ্বর, রাজরাজেশ্বর। তুমি শাস্ত্রের কথা বলে মনে করছ! আমি শাস্ত্র কাকে বলে, তার নাম-গন্ধও জানি না - এমন কি রামায়ণ, মহাভারত, যা দোকানী-পসারী জানে ও পাঠ করে, আমি এই বয়স নাগাত তাও জানি না এবং কখনো পাঠও করিনি। আমার ত্রিশ বৎসর যখন বয়স, তখন রামকৃষ্ণদেবের দর্শন লাভ করি। তখন পর্যন্ত আমি জানতাম না যে, কুরুপাণ্ডব রামায়ণে আছে কি মহাভারতে আছে। একদিন রামকৃষ্ণদেব আমাকে বললেন - হ্যাঁগা, তুমি কি ব্রাহ্ম? আমি সে-কথার কিছু জবাব দিতে পারলাম না। তখন পর্যন্ত আমি জানি না যে ব্রাহ্ম কাকে বলে, শাক্ত কাকে বলে, শৈব কাকে বলে, ভগবান কাকে বলে - আমি তাও জানি না। তিনি আছেন কি-না - তাও জানি না, আর সে-বিষয়ে কখনো ভাবিও না। তবে পরমহংসদেবকে দর্শন করবার এক বৎসর পূর্বে পাড়াগেঁয়ে গুরু কানে কৃষ্ণমন্ত্র দিয়েছেন - যখন মন্ত্র দিলেন, তখন গুরুকে বললাম, এই যে বারবার মন্ত্র বললাম কই কৃষ্ণকে তো দেখতে পাচ্ছি না। তিনি বললেন - সে কি তুমি পারবে - পুরশ্চরণ করতে হয় - আর কত কি করতে হয়! তুমি গঙ্গাতীরে থাক, স্নানের পর বারো বার মাত্র

No comments:

Post a Comment