Thursday, March 29, 2018

২৯

জপ করো। আমি কথা শুনে কেমন হয়ে গেলুম। সেই দিন থেকে কিসে কৃষ্ণকে দেখতে পাই, কৃষ্ণের সঙ্গে খেলা করতে পাই, কৃষ্ণের সঙ্গে একসঙ্গে গুড় রুটি খেতে পাই, এর জন্য প্রাণে ব্যাকুলতা উঠল। কৃষ্ণ যে ভগবান - এ মনে করে নয়, কৃষ্ণ যে পারের কাণ্ডারী - এ মনে করে নয়; তবে কৃষ্ণকে কৃষ্ণ মনে করে, কৃষ্ণ বেশ দেখতে, এই মনে করে। তাঁর হাত থেকে বাঁশীটি কেড়ে নিয়ে তাঁকে কাঁদাব, এই মনে করে; তাঁর ননীর দেহটি দেখব, এই মনে করে - তাঁকে কোলে করে বেড়াব এই মনে করে; ফুল দিয়ে তাঁকে সাজাব, এই মনে করে। গুড় রুটি আমার প্রিয় জিনিস, তাই তৈয়ার করে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে খাব, এই মনে করে - আর কত কি, তোমায় কত বলব! তখন আমাকে গয়লা বলে মনে ভাবতুম - কেউ যদি বলত, আমি বৃন্দাবন থেকে এলাম - আমি ব্রজবাসী - আমি অমনি তাকে বলতাম, কানাই কেমন আছে? কখনো কখনো আমি ব্রজবাসীর মতো আপনার মনে মনে হিন্দী ও বাংলা মিশিয়ে কথা কইতাম। তখন কানাইয়ের গান বাঁধতাম, আবার ব্রজবুলিতে গান বাঁধতাম। এখন আমি রামকৃষ্ণদেবের কাছে এসে পড়েছি - রামকৃষ্ণদেবের কাছে আসাতে এই বাই বেশি চেগে উঠল। রামকৃষ্ণদেবকে তিন দিন দর্শন করেই আমি পাকা বুঝলাম যে, যদি কেউ কৃষ্ণ দেখাতে পারেন, তা হলে ইনিই পারেন, আর কেউ পারে না। এ-সময় আমি মোটেই জানি না যে, যেই কৃষ্ণ - সেই রামকৃষ্ণদেব। এখন কৃষ্ণের সম্বন্ধে কেমন জ্ঞান জান? - কৃষ্ণ যে মধুর রসের রসিক - তা জানি না; কৃষ্ণ যে পাণ্ডবদের রথের সারথি - তা জানি না; কৃষ্ণ যে কংসবধ করেছেন - তা জানি না, কৃষ্ণ যে প্রভাসযজ্ঞের কর্তা - তা জানি না; কৃষ্ণ যে দ্বারকা-লীলা করেছেন - তা জানি না; জানি - কানাই যশোদার নীলমণি, জানি - কানাই রাখালদের সঙ্গী, বাঁশী বাজায়, ননী চুরি করে খায়, গোচারণে যায়। গোকুলে সবাই তাঁকে প্রাণের

No comments:

Post a Comment