দুর্গাচরণকে নাছোড়বান্দা দেখে তাঁকে দেখা দিলেন; তারপর তিনি রেঁধে ভাত খান।
পা। আহা! ঠাকুরের কথা যেমন মিষ্টি, ঠাকুরের ভক্তদের কথাও তেমনি মিষ্টি। রামকৃষ্ণদেবের ভক্তদের কথা আরও কিছু বলুন না মশায়!
ভ। তোমার জিজ্ঞাসা শুনে আমারও খুব আনন্দ হলো। রামকৃষ্ণদেবের এমন একটি কৃপা তোমার ভিতরে আছে যে, তাঁর লীলা-কথা তোমাকে বলতে বলতে আমার হৃদয়েও ফোয়ারা উঠছে; যা জানি না, তাও ঠাকুর জানিয়ে দিচ্ছেন। তোমার মতো লীলাতত্ত্ব-পিপাসুর সঙ্গ পেয়ে আমিও ধন্য হলাম। রামকৃষ্ণদেবের ভক্তদের কথা অতি মধুর, আবার জীবশিক্ষার জন্য তাঁদের সঙ্গে ঠাকুর যে-সকল খেলা করেছেন, সেগুলি আরও মধুর। শুনলে পাষাণে জল ঝরে, মরা গাছে মঞ্জরী উঠে, অতি বদ্ধজীবেরও চৈতন্য হয়, ভক্তি হয়, তাদের ভবসাগর পার হবার সম্বল হয়। 'শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণপুঁথি'-তে ও তাঁর সম্বন্ধীয় বিবিধ গ্রন্থাদিতে এসব কথা আছে। সে-সমস্ত গ্রন্থ দেখলে সকল খবর জানতে পারবে।
পা। আচ্ছা মশায়, তবে এখানের কথাই বলুন। আপনি যে বললেন, রামকৃষ্ণদেবের রামকৃষ্ণরূপ ছাড়া আরও রূপ আছে, সে কি রকম? তিনি কিরূপেই বা রূপের সাগর হলেন?
ভ। রামকৃষ্ণরূপটি আমাদের প্রিয় রূপ। এইটি তাঁর বিগ্রহরূপ, আর একটি বিরাট রূপ আছে। তাঁর নিরাকার ভাবও আছে। আবার তিনি বলেছেন, সাকার নিরাকার ছাড়া ভগবানের আরও একটি অবস্থা আছে। ভক্তেরা তাঁর বিগ্রহরূপ ভিন্ন অন্য রূপ দেখতে চান না, কিন্তু তিনি কিছু কিছু না দেখিয়ে ছাড়েন না।
পা। বিগ্রহরূপ রামকৃষ্ণরূপ বুঝলাম, আর আমরা ঐটিই দেখেছি - বিরাটরূপ আবার কেমন?
No comments:
Post a Comment