ভাবনায় ও পথশ্রমে হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়ল। একজন জোচ্চোর দেখলে, লোকটা ভারি আহাম্মক - হেলায় ব্যাগটি ও ছাতাটি হাতিয়ে সরে গেল। লোকটা ঘুম থেকে উঠে দেখলে - সর্বনাশ! ঠিক এই রকম যারা সংসার-শহরে এসেছে, তারা যদি আগে আপনার বাসা-ঘর ঠিক না করে ঘুরে বেড়ায়, তাদের এমনি দশা ঘটে।
ঠাকুরের আর একটি বড় সুন্দর কথা - মাঠে বর্ষাকালে কৃষকেরা ঘুনি রাখে। ঘুনির ভিতর জলের চিকচিকানি খেলা দেখে পুঁটিমাছগুলো তার ভিতর ঢুকে, কিন্তু আর বেরুতে পারে না; তেমনি সংসারে কাম-কাঞ্চনের চিকচিকানিতে মুগ্ধ হয়ে, বেরুবার পথ না জেনে যারা সংসার-ঘুনিতে ঢোকে, তাদের পুঁটিমাছের মতো দশা হয়।
সংসারে খুব সাবধান হয়ে চলতে হয়। কাম-কাঞ্চন নিয়ে খেলা, আর সাপ নিয়ে খেলা একই কথা। গুরুদেবের কাছে মহামন্ত্র ও মহৌষধি না শিখে, কাম-কাঞ্চনের সঙ্গে খেলা করলে, প্রাণরক্ষার কোন আশা নেই।
পা। গুরু কি এইসব জানিয়ে দেন? কই আমাদের গুরু তো একটি মন্ত্র ছাড়া আর কিছুই বলে দেননি! তবে কি মশায়, রকমারি গুরু আছেন?
ভ। তুমি যা বললে, তা বুঝেছি। তুমি যে গুরু ও শিষ্যের কথা বললে, তা কেমন জান? যেমন অন্ধের হাত ধরে অন্ধের গমন; পরিণামে উভয়েরই পতন অবশ্যম্ভাবী। তবে যদি শিষ্য ঈশ্বরানুরাগী হয়, তাহলে অনুরাগের বলে সে সেই গুরুর ভিতরেই আসল গুরু বের করে নিতে পারে। এখানকার মতে, গুরু একটি আলাদা আর আসল গুরু একটি আলাদা। আসল গুরুটি কে জান? - ইষ্ট-মূর্তি। মনে কর, পাখি একটি ডিম পাড়লে। কিছুকাল ঐ ডিমে তা দিতে দিতে তার ভিতর থেকে একটি ছানা বেরুল। এখানেও অবিকল তাই। গুরু কানে মন্ত্র দিলেন; সেই মন্ত্রের
No comments:
Post a Comment