তাঁকে নির্জনে পেয়ে বলেছিলুম, ঠাকুর, আমি বড় কানা। তাতে তিনি জবাব দিলেন, ঈশ্বর আছেন। আর একদিন তাঁকে বলেছিলুম - ঠাকুর, আপনি আমার ছোঁয়া কুলফী খেলেন না - আমি বড় অপরাধী। তাতে তিনি মুচকি হেসে বললেন, তুমি যদি দুপুরবেলায় কুলফী আনতে, তা হলে খেতুম; ঠাণ্ডা জিনিস রেতের বেলা খেলে অসুখ হবে, তাই খাইনি। আমার সঙ্গে ঠাকুর যে রকম ব্যবহার করতেন, এমন যদি অন্য কোন লোকের সঙ্গে হতো, তাহলে সে প্রাণ গেলেও আর তাঁর কাছে যেত না। কত লোকে তাঁর পায়ে হাত বুলাচ্ছে আর আমি হাত বাড়ালেই অমনি, হয়েছে হয়েছে বলে পা গুটিয়ে নিতেন। কখনো কখনো পদরজ নিতে গেলে পেছিয়ে চলে যেতেন আর বলতেন, 'হয়েছে, হয়েছে'। তিনি যে এত তত্ত্ব-কথা বলতেন, আমি তার কিছুই বুঝতে পারতাম না, একধারে চুপ করে বসে থাকতাম, আর তাঁকে খালি দেখতাম। আমার বাপকে আমি যেমন ভয় করতাম ঠাকুরকে তেমনি ভয় করতাম। আমার বাপের মুখের আদল ঠাকুরের মুখে দেখতে পেতুম ও এখনও পাই। তোমাকে কত বলব, অনেক কথা। আমার শাস্ত্র - রামকৃষ্ণদেব; আমার জ্ঞান - রামকৃষ্ণদেব। শাস্ত্র দেখার মধ্যে রামকৃষ্ণদেবকে দেখা। আমি যা বলছি - যা তিনি দেখাচ্ছেন তাই বলছি। আমি কারও জায়গায় রামকৃষ্ণদেবকে বসাইনি। আমি রামকৃষ্ণদেবের জায়গায় রামকৃষ্ণদেবকেই বসাচ্ছি। আমি যা দেখছি, তাই বলছি।
পা। আপনি রামকৃষ্ণদেবকে সকলের ভিতর দেখছেন - অদ্ভুত কথা! তিনিই যদি প্রত্যেক বস্তু এবং প্রত্যেক জীব হয়েছেন, তাহলে সেই প্রত্যেক বস্তু বা জীবের ভিতর রামকৃষ্ণদেব কেমন ভাবে আছেন - অংশ কি পূর্ণ?
ভ। বড় অক্ষর না পড়তে শিখলে যেমন ছোট অক্ষর পড়া
No comments:
Post a Comment