জীবের দেহখানি জড় বটে, কিন্তু ক্রিয়ায় তার মধ্যে চৈতন্যের খেলা দেখতে পাওয়া যায়।
ভ। দুধকে দই, ক্ষীর, ননী, ঘি প্রভৃতি যে-কোন অবস্থায় পরিণত কর না কেন, সকলের মধ্যেই যেমন সেই দুধ বা প্রত্যেকটিই যেমন সেই দুধের অন্যবিধ অবস্থা, তেমনি এক মূল চৈতন্যস্বরূপ ভগবান থেকে যা কিছু হয়েছে, সে-সকলের মধ্যেই তিনি বা প্রত্যেকটি সেই চৈতন্যের অন্যবিধ অবস্থা। তিনিই আধার, তিনিই আধেয়। স্থূলাবস্থায় শরীরের উপাদান হয়ে দেহ হয়েছেন, আর সূক্ষ্মভাবে দেহী বা আত্মা হয়েছেন। এ দিকে যেমন সৃষ্টিতে চৈতন্যের অতি সূক্ষ্মাবস্থা মহাকাশ, মহাকাশের স্থূল - আকাশ, আকাশের স্থূল - তেজ, তেজের স্থূল - মরুৎ, মরুতের স্থূল - জল ও জলের স্থূল - ক্ষিতি; তেমনি জীবের শরীর সম্বন্ধে পরমাত্মা সূক্ষ্মাবস্থা, তার স্থূল জীবাত্মা, জীবাত্মার স্থূল - মন, বুদ্ধি, চিত্ত, অহঙ্কার, তার স্থূল পাঞ্চভৌতিক দেহ। মায়ার অদ্ভুত খেলা।
পা। এই বললেন ভগবানের খেলা, আবার মায়ার খেলা বলছেন? মায়া শুনেছি ভুল, অনিত্য, ঐন্দ্রজালিক মাত্র।
ভ। মন আদির অতীত অতি সূক্ষ্মতম চৈতন্যস্বরূপ ভগবান যে শক্তিতে এত স্থূল হয়ে এই জীব-জগৎরূপে পরিণত হন, সেই শক্তির নাম মায়া। ভগবান যেমন সত্য ও নিত্য, তাঁর মায়াও তেমনি সত্য ও নিত্য। সত্য, নিত্য হতে যা জন্মে, তা কি কখনো অসত্য ও অনিত্য হয়? এই মায়াশক্তিই লীলাশক্তি। এই শক্তির বলে তিনি লীলা করেন। মায়াশক্তি ঈশ্বরাধীন হয়েও ঈশ্বরের চেয়ে মায়ার মহিমা বেশি। মায়াশক্তির খেলা না থাকলে ঈশ্বরের সত্তা, ঈশ্বর ভিন্ন আর কারোরই উপলব্ধির উপায় নেই। লীলাশক্তির খেলা ব্যতীত সৃষ্টিই নেই অর্থাৎ এই জীব-জগৎ নেই। জীব না থাকলে ঈশ্বর থেকেও নেই। যেমন জন্মান্ধের পক্ষে পূর্ণিমার আলো, তেমনি
No comments:
Post a Comment