Thursday, March 29, 2018

পা। তুই তো নিজেই বললি এ খানিক আগে যে, তোকে কে বলেছিল - পরমহংস ঠাকুর কালীর পূজারী ছিলেন। তাঁর পূজায় মা খুশি হয়ে তাঁকে দেখা দিয়েছিলেন আর ডাকলেই মা আসেন আর তাঁর সঙ্গে কথা হয়। মা-কালীর সঙ্গে যাঁর কথাবার্তা হয়, তাঁর সঙ্গে আবার কি কারও তুলনা আছে? ঈশ্বর-জানিত লোক!

প্র। আচ্ছা, পরমহংস ঠাকুর মা-কালীর পূজা করতে করতে মা-কালীর দেখা পেলেন - আর এ শহরের ভেতরে এত কালীমূর্তি রয়েছে, সব জায়গাতেই পূজারী বামুন রয়েছে - মাকে বেশ সাজায়, বেশ ভোগ দেয়, তারা এমন না হয়ে অন্য রকম হয় কেন বল দেখি? কালীঘাট তো একটি পীঠস্থান - মা জাগ্রতা, সেখানকারও তো খবর জানি।

পা। যে যা চায়, সে তাই পায় - পরমহংস ঠাকুর মায়ের পূজার জন্য পূজারী হয়েছিলেন, মা-কালীর দর্শন পাবার আশায় তাঁর পূজারী হয়েছিলেন, মায়ের সঙ্গে কথা কইবার জন্য পূজারী হয়েছিলেন, তাই মা-কালী তাঁর পূজা নিয়েছেন, তাঁকে দেখা দিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে কথা কয়েছেন এবং ডাকলেই এসে কথা কন। আর এঁরা উপরে ভক্তিযুক্ত হলে কি হবে, এঁরা তো আর পূজারী নন - পূজার অরি। মাও তেমনি পূজা নেন, আর মায়ের চরণলাভ, কি মায়ের সঙ্গে কথাবার্তার বদলে যা চান - চালকলা, তাই লাভ হয়। আর যাঁরা পূজা দেওয়ান তাঁদের সঙ্গে (দক্ষিণার খাতিরে) কথাবার্তা হয়ে পূজাকাণ্ড শেষ হয়।

প্র। তুই, ভাই, এত বুঝলি কি করে? এক সঙ্গেই তো এত কাল রয়েছি - কই আমি তো কিছু বুঝতে পারিনি।

পা। আমিও কিছু বুঝতেম না, তবে যেদিন পরমহংস ঠাকুর থিয়েটারে ডান পা-টি বাড়িয়ে দিয়ে সমাধিস্থ হলেন, আর গিরিশবাবু

No comments:

Post a Comment