ঘুরতে ঘুরতে ঘটনাক্রমে একটি সম্বলওয়ালা লোকের কাছে এসে পড়ল। তিনি তাঁর সাধটির কথা শুনে বললেন - আয়, আমার সঙ্গে আয়। সঙ্গে করে হাওড়া স্টেশনে নিয়ে গিয়ে একখানি বৃন্দাবনের টিকিট কিনে দিলেন, পথে যা খাবে তাও একটি হাঁড়িতে করে যোগাড় করে দিলেন, আবার একটা বিছানারও যোগাড় করে দিলেন, আর বললেন - যা, তুই এবার বৃন্দাবনে যা। রামকৃষ্ণদেব এমনি করে সম্বল দিয়ে ইষ্ট-দর্শনে পাঠিয়ে দেন। রামকৃষ্ণদেবের কৃপায় এমন অঘটন উপায় জুটে পড়ে।
ঠাকুর বলতেন, সরকারি বাতাস বইলে আর পাখার বাতাস দরকার হয় না। এখন সরকারি বাতাস চলছে, সাধন-ভজনরূপ পাখার বাতাস আবশ্যক নেই। সরকারি বাতাসটি কি, বুঝেছ? সেটি রামকৃষ্ণদেবের কৃপা। তিনি বলেছেন - আমি এখন সশরীরে; এখন কর্মের আবশ্যক নেই। অনায়াসে পাকা ফসল পাবি। একদিন হরিশ (ঠাকুরের একটি সেবক) পঞ্চবটীর তলে ধ্যান করছেন, ঠাকুর এখানে শ্রীমন্দির থেকে জানতে পেরেছেন। তখনই সেখানে হাজির; হরিশের বুকে হাত দিয়ে ধ্যান ভাঙিয়ে দিয়ে হাসতে হাসতে বললেন, "ওরে, কার ধ্যান কচ্ছিস? আয়, আমার সঙ্গে আয়, পাকা আম খাবি।"
এখন বল দেখি, কোন্ কালে জীবকে এমন সাহস, এমন আশা কে কখনো দিয়েছেন! কেবল এই ঠাকুর দেখছি। যে গুরু হেলায় একটা জীবকে ইষ্টদর্শন করান, তাঁর মহিমা আমি কি বলব! তাঁর কথা বলতে গেলে ঠোঁটে ঠোঁটে যোড় লেগে যায়।
প্রতাপ হাজরা ঠাকুরের কাছে ঐ কালীবাড়িতে থাকতেন। হাজরা একজন মহাতপস্বী, তপ জপ খুব ভালবাসেন, মালা ধরে জপ করা তাঁর যেন প্রাণ ছিল। হরদম জপ চলছে। ঠাকুর কতবার তাঁর হাত থেকে মালা ছিনিয়ে নিতেন, মালা জপ করতে কত বাধা দিতেন, আর বলতেন - এখানে এসেছ, মায়ের ইচ্ছায় সব
No comments:
Post a Comment