Thursday, March 29, 2018

৪৫

গা! তোমরা কোন্ থিয়েটারের - বেশ পোশাকগুলি করেছ তো'! অবতারে বিশ্বাস হওয়া বড় শক্ত। ডাক্তার সরকার অত বড় লোক, তিনি ঠাকুরের কাছে বলেছিলেন যে, যিনি চোরাবাণে বালীকে মেরেছেন, যিনি পাঁচমাসের গর্ভবতী স্ত্রীকে বনে দিয়েছেন, এমন রামকে আমি ভগবান বলতে পারব না।

আর একটা বাধার কথা বলি, শুন। এখনকার লোকে ভারি লেখাপড়া শিখে। সকলেই পণ্ডিত। অনেক পড়ে পাণ্ডিত্যাভিমানে হৃদয়টি ভরতি করে রেখেছে। বিদ্যাধ্যয়নে যিনি নিরহঙ্কার হন, তাঁর অধ্যয়নই অধ্যয়ন, আর এই বিদ্যাধ্যয়নে অবিদ্যার পাক খোলে। বিদ্যার উদ্দেশ্যই তাই। বিদ্যা মহাবিদ্যাকে দেখিয়ে দেয়, কিন্তু যেখানে পাণ্ডিত্যাভিমান এসে জুটল, সেখানে আরও অবিদ্যার প্যাঁচ বেশি লাগল। এই বিদ্যার অহঙ্কারে তাঁর সর্বনাশ যে হয়েছে, এটা তাঁকে আর জানতে দেয় না। অহঙ্কারই একমাত্র ঈশ্বর-পথের কণ্টক। এই অহঙ্কারই মূর্তিমতী অবিদ্যা।

অহঙ্কার অনেক রকমে হয়, কেবল সরস্বতীর করুণাতেই যে হয় তা নয়, লক্ষ্মীর কৃপাতেও খুব হয়। আবার দুই বোন এক জায়গায় যেখানে, সেখানের তো কথাই নেই। অহঙ্কার মানের হয়, কুলের হয়। অবিদ্যা নানাদিকে নানারঙ্গের ডুরি ছেড়েছেন, যাদের যেমনি পেয়েছেন, তাদের তেমনি বেঁধে কাবু করেছেন।

পা। পরমহংসদেবের পরীক্ষা দেবার কথা কি বললেন? তাঁর পরীক্ষা দেওয়া কি রকম?

ভ। সে অনেক কথা, আচ্ছা শুন। দক্ষিণেশ্বরের রানী রাসমণির কালীবাড়িতে পরমহংসদেবের ভ্রাতা রানীর জেদে মা-কালী ভবতারিণীর নিত্য পূজা ও সেবায় ব্রতী হন। তখন পরমহংসদেব জ্যেষ্ঠের নিকটে মধ্যে মধ্যে থাকতেন। একদিন বেড়াচ্ছেন, এমন সময় রানীর জামাই মথুরবাবু সেই জগন্মোহন-কান্তিমাখা-কলেবর, ঈষৎ-রক্তিমাধর,

No comments:

Post a Comment