তাহলে তাকে দেখা ও চেনা যায়; সে রকম নরদেহধারী সেই চৈতন্যময় যে শক্তিতে নিজেকে লুকিয়ে রেখে আগোটা সৃষ্টি জীবজগৎ দেখছেন, যদি সেই চৈতন্য আলো দিয়ে নিজেকে দেখিয়ে দেন, তাহলে মানুষ তাঁকে দেখতে ও জানতে পারে। এখানে তোমাদের একটি কথা বলি শোন - অন্যান্য অবতারের মতো রামকৃষ্ণদেবকে চেনা বড় শক্ত। এঁতে তো রজের ঐশ্বর্য নেই, এঁতে আগাগোড়া শুদ্ধসত্ত্বের ঐশ্বর্য। দীন ভক্তভাবে সত্ত্বের ঐশ্বর্য চেনা ও ধরা বড় শক্ত। এখানে তো রাক্ষসবধের ধ্বংসও নেই আর অঘাসুর বকাসুর তাড়কা পুতনাদির বধও নেই। এসব চোখে দেখে, কানে শুনে লোকে একটা বুঝতে পারে, কিন্তু এখানে সত্ত্বের ঐশ্বর্য; এ চোখে কানে দেখা শুনা যায় না - স্বতন্ত্র চোখ-কান চাই। এবার কি হলো জান? এবার ভগবানের ভাণ্ডারের রত্নমণি - যে রত্নমণি অকূল অপার মহাসাগরের জলে লুকানো ছিল, তাই লুঠ হয়ে গেল। রামকৃষ্ণদেব নিজের দেহ দিয়ে অগণ্য দুঃসাধ্য সাধন-মন্থনে সেসব রত্নমণি বের করে মুড়ি-মুড়কির মতো জগতে বিলিয়ে দিলেন। রামকৃষ্ণদেব এখন আমাকে যা দেখিয়েছেন, যা বুঝিয়েছেন, তাতে বেশ দেখতে পেয়েছি এবং বুঝতে পেরেছি যে, তিনিই সেই ভগবান, ভগবানের অবতার, দুনিয়ার মালিক, সর্বশক্তিমান সেই রাম, সেই কৃষ্ণ, সেই কালী, সেই অখণ্ডসচ্চিদানন্দ - মনবুদ্ধির অতীত আবার মনবুদ্ধির গোচর। তোমার আমার পক্ষে তাঁকে জানবার সহজ উপায় - তাঁর লীলাদর্শন।
পা। লীলা শ্রবণই করা যায়। দর্শন করা যায় কি রকমে?
ভক্ত। তুমি যখন একাগ্রমনে ঐ পথে যাবে, তখন আপনিই বুঝতে পারবে। আভাসে কথাটা কেমন জান? একটি সুন্দরীর রূপবর্ণন শুনতে শুনতে একটি ভাবের উদয় হয়, তারপর ঐ ভাব থেকে অন্তরে সুন্দরীর যেমন একটা ছবি ওঠে, তেমনি লীলাকথা শুনতে
No comments:
Post a Comment