হাতজোড় করে স্তব করে, কেউ পায়ে লুটে পুটে, কেউ বলে 'আমাকে চৈতন্য দাও', কেউ কাঁদে, এ রকম আর কি!
প্র। আচ্ছা, ভাই, একটা কিছু দেখে তো অমন করে। ছুঁয়ে দিলে কি দেখে কিছু শুনেছ?
পা। হাঁ, শুনেছি - কেউ শিব দেখে, কেউ কালী দেখে, কেউ রাম দেখে, কেউ কৃষ্ণ দেখে আবার কেউ যে কি দেখে, তা কিছু বলতে পারে না! কত লোক ঐ লোকটির কাছে কাবু হয়ে গেছে! এই দেখ না, আমাদের চোখের উপর গিরিশবাবু কি হয়ে গেলেন! গিরিশবাবু তো একটা সহজ লোক নন! লোকটি কারও কাছে মাথা নোয়ান না। মেসো, পিসা, মামা ইত্যাদি গুরুজনকে নমস্কার করতে হবে বলে আত্মীয় লোকের বাড়ি যান না। ঘোর নাস্তিক। বাঘে ধরে খেতে আসে, তবু ভগবানের নাম মুখে আনেন না। সাধু-সন্ন্যাসী দেখলেই চটে যান, ঠেঙা উঁচিয়ে রাখেন। দেবদেবীর প্রতিমা কাটারি দিয়ে টুকরো টুকরো করে কাটেন। সব জানিস তো - ঐ পরমহংস ঠাকুরকে প্রথম প্রথম থিয়েটারে কত গাল দেওয়া হলো। তারপর পরমহংস ঠাকুর সেই আপনার মন্তর ছেড়ে ছুঁয়ে দেওয়া মাত্র গিরিশবাবু - কাবু। এখন গিরিশবাবুই তাঁকে ভগবান বলেন।
প্র। আচ্ছা, ভাই, আর কেউ এমন হয়েছে জানিস?
পা। হাঁ, সেদিন শশধর তর্কচূড়ামণি বক্তৃতায় শহরকে তোলপাড় করে দিলেন। যে তাঁর বক্তৃতা শোনে, সে-ই বাহবা দেয়। আজ এখানে বক্তৃতা, কাল সেখানে বক্তৃতা, একটা হুলস্থূল পড়ে গেল। তারপর ঐ পরমহংস ঠাকুর তাঁর বাসায় গিয়ে দেখা করে তাঁকে ছুঁয়ে দিয়ে কি বললেন!
প্র। তারপর?
পা। তারপর আর কি - যেমনি ছোঁয়া, অমনি বোবা হওয়া! সেই
No comments:
Post a Comment