ঠাকুর দ্বিতলে যে ঘরে আছেন তার সকল দরজা জানালা বন্ধ। যেখানে তাঁর শয্যা সেটি অতি নিভৃত স্থান। এখানে মানুষ থাকলে বাগানের মধ্যে নিচে কে আসছে যাচ্ছে কিছুই জানা যায় না। ভক্তবৎসল ঠাকুর কিন্তু জানতে পেরেছেন যে, প্রবোধ ও পাঠক দর্শনের জন্য এসেছে, আর তাদের বড় ক্ষুধা পেয়েছে। অমনি ঠাকুর একজন সেবককে বললেন, "দেখ্, যে দুটি লোক এইমাত্র নিচে এল, তাদের শীঘ্র ডেকে নিয়ে আয়।" সেবক আজ্ঞামত সেই ভাগ্যবান দুজনকে সঙ্গে নিয়ে ঠাকুরের ঘরের দরজায় প্রবেশ করতে না করতে ঠাকুর তাদের ঘন ঘন হাত বাড়িয়ে ডেকে বললেন, "আয় আয়, আমি তোদের জন্য খাবার নিয়ে বসে রয়েছি। তোদের বড় ক্ষুধা পেয়েছে, খা খা।" উভয়ে ঠাকুরকে প্রণাম করে তাঁর চরণরেণু নিয়ে আহ্লাদে আটখানা হয়ে মহাপ্রসাদ উদর পূর্ণ করে খেতে লাগলেন।
ভক্তিমান ও হৃদয়বান পাঠক, ছবিটি একবার হৃদয়পটে এঁকে দেখুন। আমার কি সাধ্য যে, কলম কালি দিয়ে এ অপূর্ব লীলাচিত্র আঁকতে পারি! লীলা কি বিচিত্র! নিত্য অপেক্ষা লীলা অতীব সুন্দর। যিনি বাক্যমনের অগোচর, পুরুষপ্রধান, সর্বজ্ঞ, সর্বগ, সর্বানুপ্রবিষ্ট, পূর্ণব্রহ্মসনাতন, অনাদি, অনন্ত, অখণ্ডসচ্চিদানন্দ, তিনিই তাঁর মর্ত রঙ্গালয়ে আজ কাশীপুরের বাগানে কতিপয় ভক্তসঙ্গে জগতের চক্ষে ধুলো দিয়ে রামকৃষ্ণলীলার শেষাংশটি অভিনয় করছেন। অঙ্গের সাজ - দীনতা, হীনতা, জীবহিতার্থে অপার করুণা। শরীরটি জীর্ণশীর্ণ কঙ্কালসার। বাক্যমনের অগোচর হয়েও জীবকে শিক্ষা দেবার জন্য ঠিক তাদের মতো নিজে কি, তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন; দীন দুঃখীর সাজটি মাত্র, কিন্তু রাশি রাশি দেবেশ-দুর্লভ রত্নমণি অকাতরে যাকে তাকে বিতরণ করছেন। প্রবোধ ও পাঠককে লয়ে তিনি আজ যে
No comments:
Post a Comment